বসুন্ধরা কিংস শীর্ষ ফুটবলে নাম লেখানোর আগের তিন বছরে লিগ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে পাঁচ শিরোপা জিতেছে আবাহনী। আর গত তিন বছরে একটি।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় হেভিওয়েট এ লড়াই। অন্য যেকোনোবারের চেয়ে আবাহনী এবার বেশিই আশাবাদী। কারণ বসুন্ধরা মাতিয়ে যাওয়া ড্যানিয়েল কলিনদ্রেস ফিরেছেন আকাশি-নীল জার্সিতে। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁর সহজাত ঝলকে মুগ্ধও করেছেন দর্শকদের। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনালেও আবাহনীর জয়ে তাঁর বড় ভূমিকা। এই দুই ম্যাচে তিন গোল করেছেন কোস্টারিকান তারকা।
কিন্তু শিরোপা জেতাটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলা কিংসকে সেই কলিনদ্রেসও টলাতে পারবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। আর কলিনদ্রেস নেই, কিন্তু কিংসে আছেন রবসন রবিনহো। এই ব্রাজিলিয়ান গত মৌসুমে বাংলাদেশে পা রাখার পর থেকে হতাশ করেননি একবারের জন্যও। গত লিগটা শেষ করেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে আবারও পার্থক্য গড়ে দেওয়ার জন্য তিনি মুখিয়েই থাকবেন। নতুন রিক্রুট বসনিয়ান স্তোয়ান ভ্রানিয়েস এখনো পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও ফাইনাল তাঁর জন্য বড় সুযোগ।
আবাহনীরও নতুন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ডেরিয়েলটন প্রভাব রাখতে চাইবেন এ ম্যাচে। দারুণ ছন্দে আছেন তাদের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল আগস্তুও। কিংসের এ ম্যাচে জোনাথন ফার্নান্দেজকে না পাওয়াটা হবে বড় খামতি। যদিও কোচ অস্কার ব্রুজোন কোনো কিছুকেই বাধা মনে করেন না তাঁর দলের লক্ষ্যের সামনে, ‘এই ইনজুরি, সমস্যাগুলোকে সব সময় আমরা সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। স্কোয়াডের অন্য খেলোয়াড়রাও তখন পারফরম করার সুযোগ পায়। আমরা তাই গত মৌসুমটা যেভাবে শুরু ও শেষ করেছিলাম, এবারও সেই একই লক্ষ্যে আজকের ফাইনালে নামছি। ’
দুই দলের এ পর্যন্ত সাতবারের দেখায় পাঁচবারই জিতেছে কিংস। আবাহনী কোচ মারিও লেমোস সেই আধিপত্যটা ভেঙেই নতুন শুরুর স্বপ্ন দেখছেন, ‘কিংসকে আমরা অনেক দিন হারাতে পারিনি ঠিক, তাই বলে হারাতে পারব না এমন তো কথা নয়। সব কিছুরই একটা শুরু ও শেষ আছে। ’ আজ কি তবে আবাহনীর শুরু, নাকি কিংসেরই জয়রথ ছুটবে?
দরকার বাড়তি সুরক্ষা
বসুন্ধরা কিংস-আবাহনী ফাইনাল সব সময় উত্তেজনাকর এবং শঙ্কার। এ ম্যাচে হাতাহাতি, ফ্লাইং কিকের ইতিহাসও আছে। আজও তাই মাঠে সেরকম কিছু ঘটলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে গ্যালারিতে দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম যে বড়ই অরক্ষিত, অনায়াসে লোকজন ঢুকতে পারে বাইরে থেকে। সেমিফাইনালে গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া হয়েছিল খেলোয়াড়দের দিকে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যময়। তাই ফাইনালে বাড়তি সুরক্ষার জন্য কিংস বাফুফের কাছে চিঠিও দিয়েছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
এমএমএস