ফুটবলে অফসাইড নিয়ে ঝামেলার দিন শেষ হতে চলেছে। আগামী ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেই অফসাইড নির্ধারণের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির দেখা মিলতে পারে।
ফিফার চিফ রেফারিং অফিসার ও সাবেক রেফারি পিয়েলুইজি কলিনা এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আধা-স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অফসাইড নির্ধারণের জন্য ১০ থেকে ১২টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে যাতে রেফারি ও লাইন্সম্যানদের সিদ্ধান্ত আরও নির্ভুল করা যায়।
ইতলিয়ান সংবাদমাধ্যম 'লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত'কে কলিনা বলেন, 'ফুটবলে ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে এবং এতে ভুল সিদ্ধান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। কিন্তু এখনও কিছু জায়গা উন্নত করার সুযোগ আছে এবং অফসাইড তার মধ্যে একটি। '
সাবেক ইতালিয়ান রেফারি আরও বলেন, 'আমরা জানি অফসাইড নির্ধারণ করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। বিশেষ করে যখন । তাছাড়া আমরা এটাও জানি লাইনের পজিশন শতভাগ ঠিক হবে না। এজন্য ফিফা একটি নতুন প্রযুক্তি আনার চেষ্টা করছে, যা দ্রুত এবং সঠিক ফলাফল দিতে পারবে। এটাকেই বলা হচ্ছে আধা-স্বয়ংক্রিয় অফসাইড। '
ভিএআর এবং স্বয়ংক্রিয় অফসাইড নির্ধারণ পদ্ধতির কারণে রেফারিদের ভূমিকা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও কলিনা তা মনে করেন না। তিনি বলেন, 'অফসাইডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের পজিশন দেখার পাশাপাশি খেলায় তারা কতটা জড়িত সেটাও দেখতে হয়। প্রযুক্তি সেখানে একটা লাইন টেনে দিতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত রেফারিকেই নিতে হবে। '
স্বয়ংক্রিয় অফসাইড নির্ধারণ পদ্ধতি সম্পর্কে ফিফার ফুটবল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক পরিচালক জোহানেস হোলজমুলার বলেন, ' এটা অঙ্গভঙ্গি অনুসরণ করার প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বানানো। আমরা স্টেডিয়ামের ছাদের নিচে ১০-১২টি ক্যামেরা বসাই। এ ক্যামেরাগুলো প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার ২৯ ডাটা পয়েন্টে খেলোয়াড়দের গতিবিধি অনুসরণ করে। এরপর সেগুলো সফটওয়্যারে হিসাব করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিএআর ও রিপ্লে অপারেটরের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ’
শুরুতে ইংল্যান্ড, স্পেন এবং জার্মানিতে প্রযুক্তিটি পরীক্ষার পরিকল্পনা করার হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর কিছুদিন আগে আরব কাপে প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়। আরো কয়েকধাপ পরীক্ষায় যদি প্রযুক্তিটি উত্তীর্ণ হয় তাহলে ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এমএইচএম