'বুড়ো হাড়ে' ভেলকি দেখিয়েই যাচ্ছেন জেরার্ড পিকে। গতকাল রোববার ওসাসুনার বিপক্ষে বার্সেলোনার জার্সিতে নিজের ৬০০তম ম্যাচ খেললেন এই স্প্যানিশ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার।
শৈশব থেকেই বার্সেলোনার অন্ধভক্ত পিকে ২০০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে ক্যাম্প ন্যুয়ে ফিরে ১৪ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি কাতালান জায়ান্টদের জার্সিতে ম্যাচ খেলার রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান ক্লাবটির কিংবদন্তি ও সাবেক সতীর্থ কার্লোস পুয়েলকে (৫৯৩ ম্যাচ)। আর এবার তিনি নিজেকে নিয়ে গেলেন আরও দুই কিংবদন্তি সার্জিও বুসকেতস (৬৬৭) ও আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার (৬৭৪ ম্যাচ) কাতারে।
তবে বার্সার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড থেকে এখনও বেশ দূরে পিকে। সাবেক বার্সা অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ জাভি হার্নান্দেস ও ক্লাবের সাবেক আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি এগিয়ে আছেন অনেক বড় ব্যবধানে। এর মধ্যে দুইয়ে থাকা জাভি খেলেছেন ৭৬৭ ম্যাচ এবং পিএসজিতে পাড়ি জমানোর আগে তালিকার শীর্ষে থাকা মেসি খেলেছেন ৭৭৮ ম্যাচ।
পিকে তার বার্সা ক্যারিয়ারের অধিকাংশ ম্যাচ খেলেছেন লা লিগায়। স্পেনের শীর্ষ লিগে তার ম্যাচসংখ্যা ৩৮৭টি। ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনি ১২২ ম্যাচ এবং কোপা দেল রে'তে খেলেছেন ৬৫ ম্যাচ। এর বাইরে ১৬টি ম্যাচ সুপারকোপায়, ৫টি ক্লাব বিশ্বকাপ ম্যাচ, ৩টি ইউরোপা লিগ এবং ২টি ইউরোপিয়ান সুপার কাপে। সবমিলিয়ে বার্সার জার্সিতে তার জয় ৪১০ ম্যাচে এবং তার গোলসংখ্যা ৫৩টি। এই সময়ে তিনি ৩০টি শিরোপা জিতেছেন। একমাত্র ইউরোপা লিগ ছাড়া আর সব টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার জেতার স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
এখন পর্যন্ত বার্সার জার্সিতে ৮টি লা লিগা, ৭টি কোপা দেল রে, ৩তি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৬টি সুপারকোপা এবং ৩টি করে ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এবং ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন পিকে। বয়স ৩৫ হয়ে গেলেও, এখনও বার্সার রক্ষণ সামলানোর ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ তিনিই। তার প্রতি বার্সার নির্ভরশীলতা এতটাই যে, গ্যালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ জাভি; কিন্তু রক্ষণ জমাট রাখতে পিকেকে নামাতে বাধ্য হন তিনি।
বার্সার সঙ্গে পিকের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। চুক্তি নবায়ন করার আগে তিনি বেশ গর্ব করেই বলেছিলেন, 'আমি যেদিন বার্সেলোনার হয়ে খেলা বাদ দেব, আমি ফুটবল খেলাই ছেড়ে দেবো। আমি আর কখনোই অন্য ক্লাবের হয়ে খেলবো না। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমএইচএম