বিচার বিভাগের সংস্কারের নামে পোল্যান্ডের সরকার অগণতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করেছে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালত। এই রায়ের ফলে ইইউ-র আর্থিক অনুদান থেকে বঞ্চিত থাকছে দেশটি।
ইউরোপে ‘পপুলিস্ট’ সরকারগুলোর অবস্থা মোটেই ভালো যাচ্ছে না। প্রকৃত গণতান্ত্রিক কাঠামো, আইনের শাসন, দুর্নীতি ইত্যাদি প্রশ্নে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অত্যন্ত কড়া অবস্থান নেওয়ায় পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরির মতো দেশের সরকার বার বার বিপাকে পড়ছে।
কখনো কোটি কোটি ইউরোর ইইউ আর্থিক অনুদান আটকে রাখা হচ্ছে, কখনো অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ মেনে নিতে হচ্ছে এই দুই দেশকে।
সোমবার ইউরোপীয় আদালতের একটি রায় পোল্যান্ডের অবস্থান আরও দুর্বল করে দিয়েছে। নির্বাচনের বছরে এমন চাপ সে দেশের সরকারের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হয়ে উঠলো।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পোল্যান্ড সরকার বিচার বিভাগের ‘সংস্কারের’ কথা বলে যেসব বিতর্কিত আইন প্রণয়ন করেছিল, সেগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সোমবার শীর্ষ ইউরোপীয় আদালতের এই রায় পোল্যান্ডের ক্ষমতাসীন ‘ল অ্যান্ড জাস্টিস’ দলের জন্য যে বড় ধরনের ধাক্কা, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের রায় অনুযায়ী, পোল্যান্ডের বিচারপতিদের যেভাবে অনলাইনে কোনো সংঘ, অলাভজনক ফাউন্ডেশন বা রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ ঘোষণা করতে বাধ্য করা হচ্ছে, তার ফলে তাদের গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
আদালত সরকারের আরও কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে পোল্যান্ডে আইনের শাসন খর্ব করা হচ্ছে বলে মনে করছে। পোল্যান্ড সরকার অবশ্য এই রায়ের সমালোচনা করে ইউরোপীয় শীর্ষ আদালতকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সূত্র- ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এমএইচএস