পূর্বাভাস মতো বৃহস্পতিবার (জুন ১৫) সন্ধ্যায় গুজরাটে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আপাতত কয়েক ঘণ্টা চলবে তাণ্ডব।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বলছে, তাণ্ডব চলাকালে ‘বিপর্যয়’-এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ আগামী কয়েক ঘণ্টা গুজরাটে তাণ্ডব চালাবে ‘বিপর্যয়’।
আহমেদাবাদ আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা মনোরমা মোহান্তি বলেন, ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে মেঘের দেওয়াল জখাউয়ে অবস্থান করছে। মধ্যরাতের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যবে। পুরো ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাসার্ধ ৩০০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের চোখের ব্যাসার্ধ ৫০ কিলোমিটারের মতো।
বুধবারই দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টাইফুন রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা বিনীতকুমার সিং জা জানান, জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের হাতে যে তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে ‘বিপর্যয়’। ১৯৯৮ সালের জুনের ঘূর্ণিঝড়ের পর কোনো ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরে এতদিন থাকেনি।
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, পোরবন্দর, রাজকোট, মৌরবি এবং জুনাগড় জেলায় অতি ভারী থেকে অত্যধিক ভারী বৃষ্টি হবে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে জেরে নিচু এলাকা ভেসে যেতে পারে।
ল্যান্ডফলের সময় গুজরাট উপকূল প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়। জোয়ারের থেকেও দু'তিন মিটার বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এর জেরে দ্বারকা, ওখা, দিউ, নলিয়া, ভুজ, পোরবন্দরের মতো কয়েকটি নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা আছে।
হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৩
আরএইচ