এমনটা কেউ আশা করেনি। এমন নাটকীয়তা জয়ের পথে থাকা মেরিন লে পেন এবং জর্ডান বারডেলার জন্য বড় ধাক্কা।
প্রথম দফার ভোটে ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) ভাল ফল করলে দ্বিতীয় দফার ভোটে তাদের ঠেকাতে প্রায় দুশ প্রার্থী নিজেদের প্রর্থিতা প্রত্যাহার করেছেন যাতে ম্যাক্রোঁ এবং বামপন্থি জোট ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারে। এই প্রচেষ্টায় সফলতা এসেছে বলেই আভাস পাওয়া গেছে।
ভোট গণনায় দেখা যাচ্ছে ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নিউ পপুলার ফ্রন্ট পেতে যাচ্ছে ১৮২ আসন। ম্যাক্রোঁর জোটের পেতে যাচ্ছে ১৬৮ আসন, আরএন ১৪৩টি এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা ৬০টি আসন পেতে যাচ্ছে। খবর বিবিসি
এর আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দেওয়া বুথফেরত জরিপের তথ্য মতে, বাম জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট ১৭২ থেকে ২১৫টি আসন, ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স ১৫০ থেকে ১৮০টি আসন। আর ন্যাশনাল র্যালি ১১৫ থেকে ১৫৫টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছিল।
ফ্রান্সে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। সেক্ষেত্রে বাম জোটকে সরকার গঠন করতে হলে অন্যদের সমর্থন নিতে হবে, তাতে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠনের সম্ভাবনাই বেশি।
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল আরএন। প্রথম দফা ভোটের পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালায় তারা। দলটির বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের পুরনো অভিযোগ রয়েছে। তাই আরএনকে ঠেকাতে বামপন্থীদের জোট এনপিই ও মাখোঁর জোট টুগেদার অ্যালায়েন্স সমঝোতার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার ভোটে নামে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা,জুলাই ০৮,২০২৪
এমএম