ভোট একটি পবিত্র আমানত। আমানত যোগ্য ব্যক্তির কাছে অর্পণ করা ঈমানি দায়িত্ব।
ভোটের ব্যাপারটি শুধু পার্থিব নয়; পরকালেও এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে আদর্শবান, সৎ ও খোদাভীরু প্রার্থীর কাছে ক্ষমতা অর্পণ করার লক্ষ্যে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রত্যেক ভোটারের নৈতিক দায়িত্ব।
বর্তমান যুগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার জন্য ভোট অন্যতম একটি মাধ্যম। নির্বাচিত প্রতিনিধি শুধু ভোটদাতার সঙ্গে নয়, পুরো জাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সৎ, যোগ্য, আদর্শবান না হলে তাকে ভোট দেওয়া আর তার ব্যাপারে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে সত্যায়ন করা একই কথা।
সৎ প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সৎ প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে, নতুবা আমানতের খিয়ানত হবে। আপনার ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী কোনো ভালো কাজ করবেন তার সওয়াব ভোটদাতা হিসেবে আপনি পাবেন। তদ্রূপ আপনার ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী কোনো খারাপ কাজ করলে, পাপের কাজ করলে; ওই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য হাশরের কঠিন মুহূর্তে আল্লাহতায়ালার দরবারে আপনাকেও জবাবদিহি করতে হবে।
যেহেতু ভোট একটি সাক্ষ্য। আর ভোটার হিসেবে আপনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন। তাই ইসলামের এই নির্দেশনা। এ প্রসঙ্গে কোরআন কারিমে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘যে লোক সৎকাজের জন্য কোনো সাক্ষ্য দেবে, তা থেকে সেও একটি অংশ পাবে। আর যে লোক মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, সে তার পাপের একটি অংশ পাবে। ’ -সূরা নিসা ৮৫
আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো এবং ন্যায়সংগত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতামাতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। ’ -সূরা নিসা ১৩৫
কোরআনে কারিমে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অটল থাকবে এবং কোনো সম্প্রদায়ের আক্রোশের কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। ’ -সূরা মায়েদা ৮
এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাকো। ’ -সূরা হজ ৩০
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
এসআইএস