আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে নানাভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। এর মাধ্যমে তিনি দেখতে চান বান্দা তাকে স্মরণ করে কি না।
আল্লাহ তায়ালা এ পরীক্ষা বিভিন্নজনকে বিভিন্নরূপে করে থাকেন।
কাউকে তিনি পরীক্ষা করেন সম্পদশালী করে।
কাউকে সম্পদহারা করে। আবার কাউকে পরীক্ষা করেন সুস্বাস্থ্য দিয়ে।
কাউকে রোগাক্রান্ত করে। কারও ঈমানি শক্তি পরীক্ষা করে।
এই পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয় তারা দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করে। পক্ষান্তরে যারা অকৃতকার্য হয় তারা নিজেদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে অমঙ্গল ডেকে আনে। এই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় একমাত্র ধৈর্যশীল মুমিন বান্দারা।
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের, যখন তারা বিপদে পড়ে, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই কাছে ফিরে যাবো। (সূরা আল বাকারা: ১৫৫-১৫৬)
পরীক্ষা যতো দ্রুত শেষ হয়, প্রতিকার ততো দ্রুত হয় না। কারণ, বান্দার অমঙ্গল হোক আল্লাহ তা চান না। আল্লাহ তাদের সময় দেন, তারা তাদের ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসে কি না। এরপরও যারা অকৃতকার্য হয় তারা নিজের অমঙ্গল নিজেই ডেকে আনে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে আমাকে ডাকতে শুরু করে, এরপর আমি যখন তাকে আমার পক্ষ থেকে নেয়ামত দান করি, তখন সে বলে, এটা তো আমি পূর্বের জানা মতেই প্রাপ্ত হয়েছি। অথচ এটা এক পরীক্ষা, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না। (সূরা যুমার: ৪৯)
অপরদিকে, ধৈর্যশীল মুমিন বান্দা সব সময় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। চাই সেটা দুঃখের মুহূর্তে কিংবা সুখের মুহূর্তে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তার শুকুরগুজার বান্দাদের অতর্ভুক্ত করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২৩
এইচএ