সন্তানের জীবনে মা-বাবা আশীর্বাদস্বরূপ। মা-বাবা মৃত্যুবরণ করলেও তাদের প্রতি সন্তানের কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না, বরং তাদের মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করা সন্তানের অন্যতম দায়িত্ব।
কীভাবে তাদের জন্য দোয়া করবে সন্তান? এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘বলো, হে আমার রব! তুমি তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়াবশে প্রতিপালন করেছিলেন। ’ (সুরা: বনি ইসরাঈল, আয়াত: ২৪)
সুতরাং মা-বাবার প্রতি অন্যতম শিষ্টাচার হলো তাদের জন্য দোয়া করা। যার সওয়াব তারা কবরে বসেও পেতে থাকেন।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না। ১. সদকায়ে জারিয়া (প্রবহমান দান)। ২. এমন জ্ঞান, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়, ৩. নেক সন্তান, যে তার পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৮০)
মা-বাবার জন্য সন্তানের দোয়ার কারণে পরকালে মা-বাবার মর্যাদা বাড়ে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা জান্নাতে নেক বান্দার মর্যাদা উন্নত করেন। তখন সে বলে, হে রব! আমার এটা (মর্যাদা) কীভাবে হলো? আল্লাহ বলেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১০৬১৮)
দোয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য দান-সদকা করা উচিত।
দান-সদকা করা তাদের সঙ্গে শিষ্টাচারের অন্তর্গত। আয়েশা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে বলেন, আমার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। কিন্তু আমার বিশ্বাস তিনি (মৃত্যুর আগে) কথা বলতে সক্ষম হলে কিছু সদকা করে যেতেন। এখন আমি তার পক্ষ থেকে সদকা করলে তিনি এর নেকি পাবেন কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (বুখারি, হাদিস : ১৩৮৮)
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
এইচএ/