কোরআনে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে চারটি অভ্যাস দেখে মুনাফিক চেনা যায়। কোরআন ও হাদিসে এ বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
মুনাফিক সম্পর্কে সুরা বাক্বারাহর ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা (মুনাফিক) যখন ঈমানদার লোকদের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন বলে আমরা ঈমান এনেছি। কিন্তু যখন নির্জনে তারা তাদের দলনেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন বলে, আসলে আমরা তোমাদের সঙ্গেই আছি, আমরা তাদের সঙ্গে ঠাট্টাই করি মাত্র। ’
আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, চারটি অভ্যাস যার মধ্যে পাওয়া যায়, সে নিখাদ মুনাফিক। এছাড়া যার মধ্যে এর কোনো একটি পাওয়া যায়, সে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তা তার মধ্যে মুনাফিকির একটি অভ্যাস হিসেবে বিদ্যমান থাকে। ওই চারটি অভ্যাস হচ্ছে, কখনও আমানত রাখলে সে তার খেয়ানত করে, কথা বললে মিথ্যা কথা বলে, প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে এবং যখন কারও সঙ্গে ঝগড়া করে তখনই (নৈতিক ও সততার) সমস্ত সীমালঙ্ঘন করে। (বুখারি ও মুসলিম শরিফ)।
মুনাফিকির পরিণাম
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা একাধিকবার বলেছেন, মুনাফিক নারী ও পুরুষ নিশ্চিত জাহান্নামবাসী হবে। সেখানে তাদের চিরকাল থাকতে হবে।
সুরা তওবার ৭৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে নবি, কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন এবং তাদের সম্পর্কে কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। আর তাদের পরিণতির হচ্ছে জাহান্নাম এবং তা অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থান। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২৪
এএটি