বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কোরআনে কারিমের একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা অপরিহার্য।
সুতরাং কোনো ধরনের দাওয়াতনামা, বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার- যা নির্ধারিত সময়ের পর কোনো প্রয়োজন না থাকার দরুন পথেঘাটে ও নর্দমায় পড়ে থাকার আশঙ্কা থাকে এমনকি অনেক সময় পদপিষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত। চাই তা আরবিতে লেখা হোক বা বাংলা উচ্চারণে।
এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) দেয়ালে বিসমিল্লাহ লেখার কারণে স্বীয় পুত্রকে প্রহার করেছেন। অনুরূপ আরেকটি বর্ণনা বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) সম্পর্কেও উদ্ধৃত হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা ৪৬২৩, ৪৬২২
চিঠিপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ লিখনির শুরুতে পুরো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম লেখা সুন্নত। আল্লাহর রাসূলের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। কোরআনে কারিমে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর চিঠির আলোচনা এসেছে, যাতে বিসমিল্লাহি দ্বারা শুরু করার কথা উল্লেখ রয়েছে। -সূরা নামল ৩০
সহিহ হাদিসে এসেছে, হজরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রা.) ও হজরত মারওয়ান ইবনে হাকাম (রা.) থেকে বর্ণিত, হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সন্ধিপত্রের শুরুতে মুশরিকদের মুখপাত্র সুহাইল ইবনে আমর আপত্তি করে বলল, বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম কি আমরা তা জানি না। আরবের প্রথা অনুযায়ী বিসমিকাল্লাহুম্মা লেখ। তদুত্তরে সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম ছাড়া সন্ধিপত্র লিখব না। -সহিহ মুসলিম ১৭৮৩
সুতরাং চিঠিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ লিখনির শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম লেখা সুন্নত। এর পরিবর্তে অন্য কোনো শব্দ যেমন ৭৮৬ লিখলে ওই সুন্নত আদায় হবে না এবং বিসমিল্লাহ এর সওয়াবও পাওয়া যাবে না। আর বিসমিহিতায়ালা লিখলে আল্লাহর নামে শুরু করার ফজিলত তো পাওয়া যাবে, কিন্তু বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম লেখার সুন্নত আদায় হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসআইএস