মানুষ নির্ধারিত সময়ের জন্য কোনো কাজ করা বা না করার শপথ করে। যেমন—কেউ বলল, আল্লাহর কসম! আমি আগামী এক মাস বাজারে যাব না।
আলেমরা কসম বা শপথের সময় গণনার নিম্নোক্ত পদ্ধতি বর্ণনা করেন। ব্যক্তি যখন মাসের শুরুতে কোনো কাজ আগামী এক মাসে না করার কসম করে, তখন সে চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত কাজটি করা থেকে বিরত থাকবে।
যেমন—কেউ মুহররম মাসের শুরুতে কোনো কাজ আগামী এক মাস না করার শপথ করে, তাহলে সে সফর মাসের চাঁদ ওঠার আগ পর্যন্ত তা থেকে বিরত থাকবে—এখন সেটি মহররম মাস ২৯ দিনের হোক বা ৩০ দিনের।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন, ‘মুসলমানদের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো মত ভিন্নতা নেই যে কসম যখন চান্দ্রমাসের শুরুর ভাগে হয় তখন পুরো মাস কসমের অন্তর্ভুক্ত করবে। যেমন—কেউ কসম করল মুহররম মাসে বিক্রি করবে, তাহলে সে মহররমের চাঁদ ডোবার আগ পর্যন্ত সময় পাবে। ’ (মাজমুউল ফাতাওয়া : ২৫/১৪৩)
যদি মাসের মধ্যভাগ বা শেষ ভাগে আগামী এক মাস কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে, তাহলে বেশির ভাগ আলেমের মতে, পরবর্তী ৩০ দিন সময় গণনা করবে।
তবে কারো কারো মতে, সে ২৯ দিন পূর্ণ করলেও কসম ভঙ্গকারী হবে না।
হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, ‘কেউ যদি মাসের মধ্যে কসম বা শপথ করে, তাহলে সে ৩০ দিন পূর্ণ না করলে সওয়াব পাবে না। ’ (ফাতহুল বারি : ৯/২৯২)
আর যদি কসম করার সময় কসমকারী কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা ছাড়া বলে, (উদাহরণস্বরূপ) আমি যেকোনো এক মাস রোজা রাখব বা জামাতে নামাজ আদায় করব, তাহলে উত্তম হলো, যেকোনো মাসের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রোজা রাখা বা জামাতে নামাজ আদায় করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
এমজে