ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

কয়েকটি বিশেষ দোয়া

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
কয়েকটি বিশেষ দোয়া

ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দোয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এই দোয়া পাঠ করবে, দিবসে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিবসে মারা গেলে, সে জান্নাতবাসী হবে। ’ (বুখারি, মিশকাত, হাদিস : ২৩৩৫)

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাত্বাতু।

আউজুবিকা মিন শাররি মা ছানাতু। আবুউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়া, ওয়া আবুউ বিযাম্বি, ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।


অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার দাস। আমি তোমার কাছে কৃত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির ওপর সাধ্যমতো দৃঢ় আছি।


আমি আমার কৃতকর্মগুলোর অনিষ্টকারিতা থেকে তোমার আশ্রয় চাচ্ছি। আমার ওপর তোমার অনুগ্রহ স্বীকার করছি এবং আমি আমার পাপগুলো স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করো। কেননা তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।

ঋণমুক্তির দোয়া: মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই দোয়া পাঠ করলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করে দেন। (তিরমিজি, বায়হাকি, মিশকাত, হাদিস : ২৪৪৯)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালা-লিকা আন হারামিকা ওয়া আগিননি বিফাদিলকা আম্মান সিওয়াকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল (সম্পদ) দিয়ে যথেষ্ট করে দাও এবং তোমার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করো।

বিপদ ও সংকটকালের দোয়া : হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। ’ (তিরমিজি ও মিশকাত, হাদিস : ২৪৫৪)

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।


অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্বচরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

দোয়ায়ে ইউনুস (আ.) : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এই দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকেছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। ’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস : ২২৯২)

উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতু মিনায যালিমিন’ (সুরা আম্বিয়া : ২১/৮৭)

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের  অন্তর্ভুক্ত।

তাওবার দোয়া : রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো। কেননা আমি তাঁর কাছে দৈনিক ১০০ বার করে তাওবা করি। (মুসলিম, মিশকাত : হাদিস : ২৩২৫)

উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি। ’

অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আর আমি তাঁর দিকেই ফিরে যাচ্ছি (তাওবা করছি)।

জান্নাত প্রার্থনা ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়া : হাদিস শরিফে এসেছে, এই দোয়া পড়লে জান্নাত বলবে, হে আল্লাহ! তুমি পাঠককে জান্নাত দান করো। অন্যদিকে জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও! (তিরমিজি, নাসাঈ, মিশকাত, হাদিস : ২৪৭৮)

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনি মিনান্নার (তিনবার)।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।