মক্কা থেকে: মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে চার কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘রিভেলেশন এক্সিবিশন’। এটা ‘হেরা সাংস্কৃতিক জেলা’ হিসেবেও পরিচিত।
সৌদি বাদশা আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) ' রিভেলেশন এক্সিবিশন ' ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সেখানের গ্যালারি ঘুরে দেখা যায়, উন্নত প্রযুক্তিগত উপস্থাপনার মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সা.) এর জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ঐতিহাসিক হেরা গুহার একটি মডেল স্থাপন করা হয়েছে। শারীরিক কারণে কেউ হেরা পর্বতে যেতে না পারলেও তারা হেরা গুহার বাস্তব মডেল দেখে ধারণা লাভ করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, এ হেরা গুহায় পবিত্র কোরআনের প্রথম ওহী পেয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.)। হেরা পর্বতের কাছেই এ ‘হেরা সাংস্কৃতিক জেলা’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় রিভেলেশন গ্যালারি, পবিত্র কোরআন জাদুঘর, হেরা গুহার মডেল, বিভিন্ন ঐতিহাসিক তথ্য এখানে তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে এক্সিবিশন সেন্টার ঘিরে পার্ক, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, শপ, ইত্যাদিও গড়ে তোলা হয়েছে।
গ্যালারিতে পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েকটি প্রাচীন ও মূল্যবান পাণ্ডুলিপির সংগ্রহ প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া ইমাম বোখারী সংগৃহীত হাদিসের মূল্যবান পান্ডুলিপিও এখানে শোভা পাচ্ছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল হেরা সাংস্কৃতিক জেলা'র উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে এটির দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। সারা বিশ্ব থেকে মক্কায় আসা মুসলমানরা পরিদর্শন করে থাকেন এটি। ভিশন ২০৩০ এর অংশ হিসেবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সৌদি আরব।
প্রসঙ্গত, সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ওমরাহ পালনে বর্তমানে ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা মক্কায় অবস্থান করছেন। প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভারত, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, আজারবাইজান, নেপাল, তুরস্ক, কসোভো, কিরগিজস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা পেশার সদস্যরা রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
টি আর/জেএইচ