মর্যাদার রাত লাইলাতুল কদর। যে রাতটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।
আরবি:
اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي
উচ্চারণ:
‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু আন্নি। ’
অর্থ:
‘হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল এবং ক্ষমা করতে পছন্দ করেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। ’
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (স.)-এর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তা যদি আমি জানতে পারি, তখন কোন দোয়া পড়বো?’ তখন রাসুলুল্লাহ (স.) তাকে উপরোক্ত দোয়াটি পড়তে বলেন। (তিরমিজি: ৩৫১৩)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে বেশি বেশি এ দোয়া পড়ার।
শবে কদরে আরও যে আমল করা যেতে পারে
শবে কদরের অন্যতম ইবাদত হলো দুই ব্যক্তির বিরোধ বা কোনও পরিবারের পারস্পরিক ঝগড়াবিবাদ মিটিয়ে দেওয়া। উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হলেন। এ সময় দুইজন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম (সা.) বললেন, ‘আমি আপনাদের ‘লাইলাতুল কদর’ এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
এমজে