মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর আনন্দের বার্তা নিয়ে উদিত হয় ঈদের চাঁদ। আসন্ন এই ঈদানন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে বিত্তশালী ও সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসুন।
যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয়, তখন তার পুরো শরীরই তা অনুভব করে। যদি তার মাথা ব্যথা হয়, তাতে তার পুরো শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৬)
বয়স্কদের খবর নিন
আর যারা বয়স্ক, বয়সের ভারে ন্যুব্জ; তাদের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাই। এদের কারো প্রতি কোনো করুণা নয়, বরং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এগিয়ে যাই। নিজেদের ঈদের কেনাকাটার কিছু অংশ তাদেরও দিই।
অসুস্থদের ভুলে না যাই
ঈদ উৎসব পালনকালে সেই সব ভাই-বোনের কথাও আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা কঠিন পীড়ায় অসুস্থ হয়ে বাড়িতে কিংবা হাসপাতালে পড়ে আছে। ব্যথা, যন্ত্রণা ও মানসিক পীড়নে ঈদের আনন্দ যাদের মাটি হয়ে গেছে। নতুন পোশাক কেনা দূরে থাক, পুরনো কোনো ভালো পোশাকই যাদের নেই। আমরা যারা সচ্ছল আছি, তাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি। সেবা-শুশ্রূষা করে হোক, আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে হোক, এদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিজেদের কল্যাণের জন্য তোমরা যে উত্তম কাজ করে থাকো, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে পাবে। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১০)
আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাই
সারা বছর কর্মব্যস্ততার কারণে আমরা অনেক আপনজনকেই ভুলে থাকি। খোঁজখবর নেওয়ার সময়-সুযোগ হয়ে ওঠে না। ঈদের উৎসবে অবসর যাপনের দিনগুলোতে আমরা আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিই। তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাই। সুখ-দুঃখের কথা শুনি। কেউ আর্থিক টানাপড়েনে থাকলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই। জীবন চলার পথে বিভিন্ন পর্যায়ে কারো কারো সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
ঈদের সময় পারস্পরিক মনোমালিন্য দূর করা ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার উত্তম সময়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিমের জন্য বৈধ নয়, যে তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সময় সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে। তাদের অবস্থা এমন যে দেখা-সাক্ষাৎ হলে একজন অন্য জনকে এড়িয়ে চলে। এ দুজনের মধ্যে ওই ব্যক্তি শ্রেষ্ঠ যে প্রথম সালাম দেয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৬৯৭)
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক—এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৪
এমজে