মুসলমানরা ১০০ বছর আগে গ্রিসে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহাসিক ইয়েনি যামি মসজিদ।
এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
জানা গেছে, দেশটিতে গত শতক থেকেই বহাল থাকলেও সম্প্রতি মত পাল্টায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১০ এপ্রিল) খুলে দেওয়া হয় মসজিদটি। পরে মুসল্লিরা এখানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এদিন ৭০ মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
এক শতাব্দি আগে ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল ডনমেহ সম্প্রদায়ের মানুষ। আর তাদের জন্য অটোম্যান শাসকরা এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯০২ সালে তৈরি মসজিদটির স্থাপত্যে দেখা মেলে ইসলামিক কারুকার্যের। ইতালিয়ান স্থপতি ভিতালিনো পোসেলির হাত ধরেই গড়ে ওঠে মসজিদটি। ১৯২৩ সালে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যে দুই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিনিময় হয়। ফলে ইয়েনি যামি মসজিদটিতে নামাজ আদায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে এটি কখনো ব্যবহার হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র, কখনো জাদুঘর হিসেবে।
এক মুসল্লি বলেন, গ্রিস সরকার জানিয়েছিল, একশো বছর পর মসজিদটির দরজা খুলে দেওয়া হবে। তাই নামাজ পড়তে এসেছিলাম। প্রায় ৬৩ বছর যাবৎ এখানে আছি, এতদিন এটাকে জাদুঘর হিসেবে চিনলেও, জানতাম না এটা একটা মসজিদ।
ইউরোপের এ দেশটিতে ২০২০ সাল পর্যন্তও মুসলিমদের জন্য কোনো মসজিদ ছিল না। ভোটানিকোসে প্রথম সরকারিভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয় ২০২০ সালে।
সূত্র: এপি
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
জেএইচ