সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও পারস্পরিক সহনশীলতা মানবজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যের মতামত ও আচার-আচরণ সহজভাবে কীভাবে গ্রহণ বা সহ্য করতে হয়, তা শেখায় সহনশীলতার অনুশীলন।
যারা সহনশীলতা কিংবা সহানুভূতিশীল আচরণে অভ্যস্ত, অন্যরা তাদের সহজে গ্রহণ করে নেয়। তাদের মাধ্যমে সামাজিকভাবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি হয়।
বিভিন্ন কারণে-অকারণে মনের বিপরীত আচরণ ও উচ্চারণের সম্মুখীন হওয়া স্বাভাবিক। যারা এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন, তারা অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসিত হন। না হয়, বাহ্যত না হলেও পরোক্ষভাবে ঘৃণা ও অপছন্দের শিকার হতে হয়। তাই জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে সহনশীলতা ও সহিষ্ণুতার গুরুত্ব অপরিসীম।
পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহনশীলতার অত্যধিক গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সহনশীল হওয়ার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে সহনশীলতার শক্তি দান করবেন, আর সহনশীলতা থেকে অধিক উত্তম ও ব্যাপক কল্যাণকর আর কিছুই কাউকে দান করা হয়নি। ’ (বোখারি ও মুসলিম)
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য-সহনশীলতা ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত নং ১৫৩)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘ভাল ও মন্দ সমান নয়। উত্তরে তাই বলুন, যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। এ চরিত্র তারাই লাভ করে, যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। ’ (সুরা ফুসসিলাত, আয়াত নং ৩৪-৩৫)
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৪
এসআইএস