ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এর মধ্যে সালাত দ্বিতীয়।
আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১১০)
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো।
’ (সুরা বাকারা, আয়াত ৪৩)
আলোচ্য আয়াতে জামাতে নামাজ আদায়ের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সাহাবেকেরাম নামাজ ত্যাগকারীকে কাফির মনে করতেন। আর জামাত ত্যাগকারীদের মনে করতেন মুনাফিক।
আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.)-কে এ কথা বলতে শুনেছি, “আচ্ছা তোমরা বল তো, যদি কারোর বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে” সাহাবিগণ বললেন, ‘(না,) কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। ’ তিনি বললেন, “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও সেইরূপ। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন। ’ (বুখারি, হাদিস নং ৫২৬)
আল্লাহ তাআলা কোরআনে আরো ইরশাদ করেন, ‘আমাকে স্মরণ করো আমি তোমাকে স্মরণ রাখবো। ’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত ১৫২)
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত ৪৫)
আল্লামা শানকিতি বলেন, ধৈৰ্য্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করা সুস্পষ্ট বিষয়। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে একসময় তার উপর আল্লাহ্র রহমত নেমে আসবে এবং সে সফলকাম হবে। কিন্তু নামাজের মাধ্যমে কীভাবে সাহায্য প্রার্থনা করবে এর উত্তর হচ্ছে, সালাতের মাধ্যমে অন্যায় অশ্লীল কাজ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। আল্লাহ্ বলেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে দূরে রাখে। ’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫)
রাসুল (সা.) যখন কোনো সমস্যায় পড়তেন বা চিন্তাগ্রস্ত হতেন তখনই তিনি সালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ ৫৩৮৮)
সুতরাং যে কোনো বিপদাপদে ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা-কোশেশ করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা মিলবে সহজে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৪
এসআইএস