কোনো কারণে ভুল করে ফেললে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে যে দোয়া পড়ে ক্ষমা চাইবেন।
উচ্চারণ: রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না মিনাল খা’সিরিন।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ্, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।
হাদিসের বর্ণনায় ওঠে আসা ছোট ৪টি দোয়ায়ও ক্ষমা প্রার্থনা করা যেতে পারে। তা হলো-
১. হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয়ই নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়ায় ক্ষমা প্রার্থনা করতেন-
رَبِّ اغْفِرْلِىْ خَطَايَاىَ وَجَهْلِىْ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি খাত্বাইয়ায়া ওয়া ঝাহলি। ’
অর্থ : ‘হে প্রভু! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার ভুল ও অজ্ঞতাগুলোও ক্ষমা করুন। ’ (বুখার, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
২. প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব গোনাহ থেকে মুক্তির দোয়া-
رَبِّ اغْفِرْلِىْ مَا أَسْرَارْتُ وَ مَا أَلَنْتُ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি মা আসরারতু ওয়া মা আলানতু’
অর্থ : ‘হে প্রভু! গোপনে ও প্রকাশ্যে আমি যা করেছি; আপনি তা ক্ষমা করে দিন। ’ (মুসনাদে আহমাদ)
৩. হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ক্ষমা প্রার্থনায় বললেন-
سُبْحَانَكَ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাকা ইন্নি কাদ জালামতু নাফসি ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আন্তা। ’
অর্থ : (হে আল্লাহ!) তুমি অত্যন্ত পবিত্র সত্তা। আমার উপর আমি অত্যাচার করেছি। অতএব তুমি আমাকে মাফ কর, কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ মাফ করতে পারে না। ’ (তিরমিজি)
৪. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার বর্ণনায় ক্ষমা ও তাওবার চমৎকার একটি ছোট্ট আবেদন-
أللَّهُمَّ اغْفِرْلِى وَ تُبْ عَلَيَّ اِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الْغَفُوْرُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া তুব্ আলাইয়্যা ইন্নাকা আন্তাত তাওয়্যাবুল গাফুর। ’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহান তাওবাহ কবুলকারী; মহান ক্ষমাশীল। ’ (মুসনাদে আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ)
মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহর কাছে প্রিয় ‘ক্ষমা চাওয়ার’ এই ইবাদতে সব সময় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সুন্নাতের উপর বেশি বেশি আমল করা। কারণ প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও প্রতিদিন ৭০/১০০ বার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আর নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেই বলতেন-
أَفَلَا أَكُوْنَ عَبْدًا شَكُوْرًا
‘আমি কি তাঁর (আমার রবের) শোকরগুজারকারী বান্দা হবো না?’