ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ আদায় করার পর নফল নামাজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। নফল নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা যায়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানুষের আমলের মধ্য থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। আল্লাহ তাআলা জানা থাকা সত্ত্বেও ফেরেশতাদের জিজ্ঞাসা করবেন, দেখো সে পূর্ণ নামাজ আদায় করেছে, না তাতে ত্রুটি আছে? পূর্ণ হলে পূর্ণ বলা হবে। আর ত্রুটি থাকলে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল আছে কি না? থাকলে তিনি সেটা দিয়ে ফরজের ঘাটতি পূর্ণ করতে বলবেন। এভাবে ফরজের ঘাটতি নফল দ্বারা পূর্ণ করা হবে। ’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৮৬৪)
ফরজের পাশাপাশি আমরা যে নফল নামাজগুলো পড়ি, ইশরাক নামাজ তার মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ তাআলার কাছে ইশরাকের ফজিলত অনেক বেশি। এই নামাজ ফজরের পরে পড়তে হয়। ফজরের ওয়াক্ত শেষ হলে নামাজের নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। সেটা থাকে ২০ মিনিটের মতো।
এরপর ইশরাকের ওয়াক্ত। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ইশরাকের নামাজ পড়ে, তার সারা দিনের সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহ তাআলা যথেষ্ট হয়ে যান। ’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ১০০৯)
নবীজি (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে, এরপর সূর্য ওঠা পর্যন্ত বসে বসে আল্লাহর জিকির করে, এরপর দুই রাকাত নামাজ পড়ে; তার জন্য একটি হজ ও একটি ওমরাহর সওয়াব রয়েছে। নবীজি তিনবার বলেছেন, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ, পরিপূর্ণ। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৫৮৫)
অর্থাৎ ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত জিকির-আজকার করে দুই রাকাত নামাজ পড়লে পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৪
এমজে