শনিবার পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করেছে কয়েকশ’ কট্টরপন্থী ইহুদি। তারা মসজিদ এলাকায় ঢুকে হই-হুল্লোড় ও চেঁচামেচি করতে থাকে।
আল আকসা মসজিদ চত্বরে ঢুকে ইহুদিদের এমন হট্টগোলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার হট্টগোলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় পুলিশ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
ইসরাইলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড (Micky Rosenfeld) জানান, ইহুদি সম্প্রদায়ের একটি উৎসবের দিনে প্রায় ৩০০ ইহুদি আল আকসা মসজিদ এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ তাদের বের হয়ে যেতে বললেও তারা শোনেনি। পরে পুলিশ সাতজন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করে।
জেরুজালেমভিত্তিক একটি ফিলিস্তিনি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আল আকসা মসজিদ এলাকায় ইহুদিদের অনুপ্রবেশ ও প্রার্থনার ছবি পোস্ট করেছে।
আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের প্রথম কেবলা ও ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। অন্য দিকে ইহুদিরও জায়গাটিকে তাদের পবিত্র স্থান বলে দাবি করে থাকে। তাদের দাবি, প্রাচীনকালে এখানে ইহুদিদের দু’টি মন্দির ছিলো।
আল আকসা মসজিদে শুধু মুসলমানদেরই প্রবেশ ও ইবাদত করার অনুমোদন রয়েছে। আর সীমিত পরিসরে প্রবেশাধিকার রয়েছে ইহুদিদের। যদিও কট্টরপন্থী ইহুদি ও দেশটির সরকার সব সময়ই এই নিয়মের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছে।
ইসরাইলি পুলিশ প্রায়ই, বিশেষত ইহুদিদের বিভিন্ন উৎসবের দিনগুলোতে ব্যাপকহারে ইহুদিদের প্রবেশ করার সুযোগ দেয়।
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে চলে যায়। ১৯৮০ সালে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে পশ্চিম জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করে নিজেদের রাজধানী ঘোষণা করে, তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটাকে স্বীকৃতি দেয়নি।
উল্লেখ্য, জেরুজালেম ইসলামের অন্যতম পবিত্র স্থান। ধর্মীয় কারণে যে তিনটি স্থানে সফরের কথা শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, এই স্থান তন্মধ্যে অন্যতম। বাকি দু’টি স্থান হলো- মসজিদুল হারাম (মক্কা) ও মসজিদে নববী (মদিনা)।
-মিডলইস্ট মনিটর অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
এমএইউ/