গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে কোনো মসজিদ না থাকার কারণে সেখানকার মুসলমানরা নামাজ ও অন্যান্য সম্মিলিত ইবাদত-বন্দেগি বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভবনে সম্পন্ন করেন। এথেন্স জুড়ে প্রায় একশ’রও বেশি এমন অস্থায়ী নামাজের জায়গা রয়েছে।
ইউরোপের অন্যসব দেশের রাজধানীতে মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য মসজিদ অথবা ইবাদতের নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে; শুধুমাত্র গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য কোনো মসজিদ অথবা ইবাদতের নির্দিষ্ট স্থান নেই।
এথেন্সের মসজিদ না থাকার প্রেক্ষিতে সেদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ, অনেকে এটাকে গ্রীসের একটি নেতিবাচক দিক বলতেও দ্বিধা করছেন না।
এসব বিষয় বিবেচনা ও মুসলমানদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রীসের সংসদ এথেন্সে একটি মসজিদ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে।
জেনারেল অ্যাকাউন্টিং অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এথেন্সের ইলায়োনাস এলাকায় মসজিদটি নির্মাণ হবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ লাখ ইউরো। নির্মাণ ব্যয়ের পুরোটাই বহন করবে সরকার।
দেশটিতে প্রায় ২ লাখ মুসলমানের বাস। মুসলিম অধিবাসীদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার শরণার্থী।
উল্লেখ্য যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর রাজধানীর মধ্যে এথেন্সই একমাত্র রাজধানী যেখানে কোনো মসজিদ নেই। আর পুরো গ্রীসে মসজিদ রয়েছে মাত্র একটি। সেটি তুরস্কের কাছে গ্রীসের সীমান্ত শহর থ্রেসে অবস্থিত।
-মিডলইস্ট মনিটর অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৬
এমএইউ/