মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব ঈদুল আজহার বেশি দেরি নেই। ঈদুল আজহার দিনের অন্যতম আমল হলো- আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করা।
জবাইয়ের প্রস্তুতি
নিজে জবাই করা উত্তম। নচেৎ জবাইয়ের জন্য সঠিক বিশ্বাসের মুসলমান নির্বাচিত করুন।
জবাই করানোর ও গোশত বানানোর পারিশ্রমিক আগে থেকেই ফয়সালা করে নিন।
জবাইয়ের সময়
ছুরি ভালোভাবে ধার করুন। জবাইয়ের পূর্বে পশুকে ভালোভাবে দানা-পানি খেতে দিন।
শহরের যে কোনো এক স্থানে ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু কোরবানি করা যাবে।
নিজেই জবাই করুন। নচেৎ জবাইয়ের সময় স্বশরীরের উপস্থিত থাকুন।
জবাইয়ের স্থানে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন না। জবাই নিয়ে রঙ-তামাশা, হৈ চৈ করবেন না।
চেষ্টা করবেন পশুকে কেবলার দিক মুখ করে শোয়াতে। যদি তা সম্ভব না হয়- তবে পশু যে দিকেই ফিরে থাকুক সে দিকেই রেখে জবাই করবেন। পশু পড়ে যাওয়ার পর টানা-হেচড়া করে পশুকে স্থানান্তর করবেন না বা দিক পরিবর্তন করবেন না। কেননা, পশুকে কষ্ট দেওয়া নাজায়েজ আর কেবলার দিকে মুখ করে জবাই করা মোস্তাহাব। মোস্তাহাব আমলের জন্য নাজায়েজ কাজ করা যাবে না।
যিনি ছুরি চালাবেন তিনি ছুরি চালানোর সময়- ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’- বলবেন।
জবাইয়ের সময় পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালীসহ গলায় অবস্থিত অন্যান্য রগের অন্তত আরও দু’টি কাটলেও হবে।
জবাইয়ের পর পশু নড়াচড়া করছে- এমন সময়েই চামড়া খসানো, হাত-পা কাটা, বুকের ভেতর বা নালীতে ছুরিবিদ্ধ করা নাজায়েজ। এ কাজ থেকে নিজেও বিরত থাকুন, কসাইকেও বিরত রাখুন।
কোরবানির পর
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করা মোস্তাহাব। এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে উপহার দিন। এক ভাগ গরিব-মিসকিনকে দান করুন। এক ভাগ নিজের পরিবার-পরিজনদের জন্য রেখে দিন।
জবাই করা, গোশত বানানো অথবা কোরবানি সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে যারা সহযোগিতা করেছে- সে সবের বিনিময়ে পশুর কোনো অংশ তাদেরকে দেওয়া যাবে না। নগদ অর্থ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে তাদের পাওনা পরিশোধ করুন
কোরবানির পশুর গোশত, চর্বি, ভুড়ি বিক্রি করা বা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েজ নেই। যদি বিক্রি করা হয়ে থাকে তবে মূল্য দান করে দিতে হবে।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোরবানির গোশত উপহার দেওয়া কিংবা দান করা জায়েজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
এমএইউ/
আরও পড়ুন>>
** কোরবানির আগে-পরে কি করবেন, কি করবেন না