পূর্ব থেকে চলা আসা রীতি অনুযায়ী সকালে (১১ সেপ্টেম্বর) কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর (৯ জিলহজ) হজের দিন হাজিরা সব আরাফার ময়দানে থাকেন এবং মসজিদে হারামে মুসল্লির সংখ্যাও থাকে কম।
এবার গিলাফ পরিবর্তনের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন মসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়করা। এ সময় বাদশার প্রতিনিধি, মক্কার গভর্নর, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আমন্ত্রিত বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নতুন গিলাফটি রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) মক্কা শরিফের গভর্নর প্রিন্স খালেদ বিন ফায়সাল আল সৌদ কাবা শরিফের জন্য তৈরি নতুন গিলাফ মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস সুদাইসসহ কাবা শরিফের সিনিয়র তত্ত্বাবধায়কদের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। আজ তা কাবায় চড়ানো হলো।
কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের জন্য আলাদা অালাদা গিলাফ ব্যবহার করা হয়। গিলাফ দু’টোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরা বানানো হয়। চারটি টুকরা চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরাটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরাগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত।
কাবার গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ, মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। একটা আরেকটার সঙ্গে সেলাই করা।
প্রতিবছর দু’টি করে (একটি সতর্কতামূলক) গিলাফ তৈরি হয়। একটি হাতে তৈরি, বানাতে সময় লাগে আট-নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়।
পুরনো গিলাফটি কেটে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র ও সংস্থাকে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
এমএইউ/