আলজেরিয়ার কারা অধিদপ্তর ঘোষণা করেছে, জেলখানায় যে সব বন্দি কোরআনে কারিম হেফজ (মুখস্থ) করবে, তাদেরকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আলজেরিয়ার কারা অধিদপ্তরের প্রধান মুখতার ফালিউন জেলখানার বন্দিদের কোরআন হেফজের প্রতি উৎসাহিত করতে এ ঘোষণা দেন।
‘কারা বন্দিদের ধর্মীয় নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণায় তিনি বলেন, কারা বন্দিদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। আলজেরিয়ার সংবিধানেও এ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সেমিনারে আলজেরিয়ার ধর্ম ও বিচার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সেমিনারে মুখতার ফালিউন বলেন, যে সব বন্দি কোরআন হেফজ করবে, তাদেরকে আমরা বিশেষ সুবিধা প্রদান করবো। যেমন- বেকসুর খালাস, অর্ধেক শাস্তি ক্ষমা কিংবা জেল থেকে বের হওয়ার সুযোগ।
তিনি বলেন, এই সুযোগ শুধুমাত্র ওই সব বন্দিদের জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা কারাগারে পবিত্র কোরআন হেফজ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবে এবং নিজেদের সংশোধন করবে। এ ছাড়া যে সব বন্দি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এবং যারা নির্দিষ্ট দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদেরকে গড়ে তুলবে- তারাও এমন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
ওই কারা কর্মকর্তা আরও বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বন্দিরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হবে। জেল পরবর্তী জীবনে সৎ জীবনযাপনে উৎসাহী হবে। আমরা সেটাই চাচ্ছি।
সেমিনারে তিনি জানান, ইতোমধ্যেই কারাবন্দীদের ধর্মীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৪২২ জন ধর্ম প্রশিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বন্দিরা তাদের কাছে ধর্মীয় নানা বিধানসহ কোরআন শেখার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
এমএইউ/