বিগত এক দশকের তুলনায় চলতি বছর (১৪৩৭ হিজরি, ২০১৬ সাল) সবচেয়ে কম সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ পালন করেছেন। সৌদি আরবের দি জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস (জিএএসএ) এর বরাত দিয়ে সৌদি গেজেট এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি গত ৪৭ বছর যাবত হজপালনকারীদের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করছে। সৌদি আরবের জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব পাসপোর্টের মাধ্যমে তারা বিদেশি হজযাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে হজ পালনকারীর মোট সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩শ’ ২৫ জন। মোট হাজির মধ্যে ১৭ লাখ ৭ হাজার ৩শ’ ১৪ জন বিদেশি ও ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ’ ১১ জন অভ্যন্তরীণ হাজি ছিলেন।
চলতি বছর মোট হাজির সংখ্যা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৯শ’ ৯ জন। তন্মধ্যে ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৩শ’ ৭২ জন বিদেশি এবং ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫শ’ ৩৭ জন বিদেশি।
ওই সময়ের তুলনায় বর্তমানে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪শ’ ১৬ জন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক তিন লক্ষাধিক হাজি পবিত্র হজ পালন করেন।
চলতি বছর হজপালনকারীদের মধ্যে শতকরা ৫৪ দশমিক ৬ ভাগ পুরুষ ও ৪৪ দশমিক ৪ ভাগ নারী। তাদের মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ আকাশপথে, ৫ ভাগ সীমান্তপথে ও শতকরা এক ভাগ সমুদ্রপথের যাত্রী।
সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে মিসরের হাজির সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ শতকরা ৩৯ দশমিক ২ ভাগ। মিসরের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ হাজি পাকিস্তান ও ভারতীয় যথাক্রমে শতকরা ১৬ দশমিক ৩ ও ৯ দশমিক ৪ ভাগ।
জিএএসএ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের সঠিক তথ্য স্বল্প সময়ে সংগ্রহের জন্য পোর্টেবল ডিভাইস ব্যবহার করে থাকে। ওই ডিভাইসের মাধ্যমে তারা জাতীয়তা, আগমন কেন্দ্র ও আগমনের সময় সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তারা মক্কায় প্রবেশ পথে ছয়টি তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে। এ ছাড়া জেদ্দা, তায়েফ ও মদিনাতেও তারা বিভিন্ন কেন্দ্র স্থাপন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
এমএইউ/