জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদের সঙ্গে ইহুদি ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইউনেস্কো রায় দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে জেরুজালেমের ওপর ইহুদি ধর্মের দাবি নস্যাৎ হয়ে গেল।
মসজিদুল আকসার ইতিহাস-ঐতিহ্য শুধু মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত- এমন দাবি সম্বলিত প্রস্তাব নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটিতে ২৪ সদস্য পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র ৬টি। আর ২৬ সদস্য ভোটদানে বিরত থাকে।
মিসর, আলজেরিয়া, মরক্কো, লেবানন, ওমান, কাতার, সুদান ও ফিলিস্তিন এই প্রস্তাব উত্থাপন করে। প্রস্তাবে বলা হয়, আল আকসা মসজিদ এবং এর আঙিনা কেবল মুসলমানদের জন্যই পবিত্র।
ইসরাইলি কূটনীতিকরা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা কিংবা অন্তত ভোটদানে বিরত থাকার জন্য ইউনেস্কো সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা করে।
মসজিদুল আকসা নিয়ে মুসলমানদের সঙ্গে ইহুদিদের বিরোধ বহু পুরনো। চলমান এমন বিরোধের মাঝে ইউনেস্কোর এমন রায়ে চটে গিয়ে ইসরাইল ইউনেস্কোর সঙ্গে তাদের সহযোগিতা স্থগিত ঘোষণা করেছে।
ইউনেস্কোর রায়ে জেরুজালেমের মসজিদুল আকসাকে কেবল ‘হারাম শরিফ’ বলে উল্লেখ করা হয়, যা মুসলমানদের কাছে এ নামেই পরিচিত। ইহুদিরা এ স্থানকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ বলে।
রায়ে অবশ্য পুরাতন জেরুজালেমের ওই জায়গার সঙ্গে বিশ্বের প্রধান তিন ধর্মের সম্পর্কের গুরুত্ব স্বীকার করা হয়। তবে পাহাড় চূড়াটিকে কেবল আল আকসা মসজিদ বা হারাম শরিফ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। যার সঙ্গে শুধু মুসলমানদের আদি বৈশিষ্ট্য সম্পৃক্ত।
এই মসজিদুল আকসা থেকেই ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) মিরাজ গমন করেছিলেন। ইসলামে এটি তৃতীয় পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত। অন্যদিকে ইহুদিদের বিশ্বাস, এখানেই দু’টি অত্যন্ত প্রাচীন ইহুদি মন্দিরের অবস্থান।
ইউনেস্কোর এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং পূর্ব জেরুজালেমের আদি বৈশিষ্ট্য ধরে রাখার কথা বলা হয়। এটিতে ইসরায়েলের কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা করে বলা হয়, ইসরাইল সেখানে বল প্রয়োগ করছে, মুসলিমদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।
-মিডল ইস্ট মনিটর অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
এমএইউ/