রাজশাহী: আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ ও সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হয়েছে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শাহ মখদুম (র.) ঈদগাহে তাবলীগ জামায়াতের তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে ১১টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাতে গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ করামনা করা হয়।
এছাড়া ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীদের ওই পথ পরিহার করে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানানো হয়।
দোয়া পরিচালনা করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ থেকে আসা তাবলীগ জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। এর আগে ফজরের পর থেকে কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মালানা রবিউল হক ও মাওলানা আবদুল মতিন মুসল্লিদের উদ্দেশে কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান রাখেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রাজশাহী মহানগরী ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। বেলা ১১টার আগেই ইজতেমা ময়দান ছাড়িয়ে এর আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ইজতেমা ময়দানের সংযুক্ত সড়কগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ইজতেমা ময়দানে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ এবং গোয়েন্দা পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে। মূল গেটে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিলো।
নিরাপত্তার জন্য ইজতেমা ময়দানে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে ছয়টি সিসি ক্যামেরার বসানো হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। মাগরিবের নামাজের পর থেকে চলে মূল বয়ান। ইজতেমায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ২শ’টি তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লিরা অংশ নেন।
তাবলীগ ইজতেমার সুরা সদস্য নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর টঙ্গীতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় রাজশাহীর মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবে না। যারা কেবল ৪০ দিন কিংবা ১২০ দিনের জামায়াতে রাজশাহীর বাইরে থাকবেন তারাই শুধু অংশ নেবেন। তাই এখানকার ইজতেমাটি ছিল সর্ববৃহৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৬
এসএস/জিপি/বিএস