ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ইসলামি ভাবধারার খেলনার দোকান। ব্রিটেনের মুসলিম নাগরিক নাজিয়া নাসরিন (Nazia Nasreen) শিশুমননে ইসলামি ভাবধারা গড়ে তোলার লক্ষে লন্ডনের বার্মিংহামে বিশ্বের প্রথম ইসলামি খেলনার দোকান চালু করেছেন।
নাজিয়া নাসরিন ২০১৪ সাল থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী বিক্রি করে আসছিলেন। কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে তিনি এবার দোকান চালু করলেন। এসব খেলনার বৈশিষ্ট্য হলো- খেলনাগুলো তৈরিতে ইসলামি ভাবধারা, মুসলিম ঐতিহ্য ও আদর্শ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
৩১ বছর বয়সী নাজিয়া দুই সন্তানের জননী। তার দোকানে হিজাবি পুতুল, বিভিন্ন ডিজাইনের জায়নামাজ, প্রার্থনা কার্ড, কোরআনের ফ্ল্যাশ কার্ড এবং আরবি বর্ণমালা ব্লকসহ অন্যান্য ইসলামি খেলনা পাওয়া যায়।
নাজিয়া তার দোকান, খেলনায় নতুন ধারা প্রবর্তন সম্পর্কে বলেন, সাধারণত শিশুরা যা দেখে, তাই শেখে। খারাপ জিনিস থেকে উগ্র হয়, এক সময় চরমপন্থী হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শিশুদের সঠিক ও সুন্দর ইসলামি পথ দেখানোর জন্য আমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিশুদেরকে সঠিক ইসলামি শিক্ষা দেওয়ার জন্য নানা ধরণের ইসলামি বই ও পুতুল ইত্যাদি তৈরি করেছি।
নাজিয়া নাসরিন অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মুসলমান হওয়ার জন্য শিশুরা যেন গর্ববোধ করে এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে- এ বিষয়ে ঘাটতি রাখবেন না।
শিশুদের হাতে কল্পনানির্ভর ও মারামারি শেখাতে সাহায্য করে এমন খেলনার বদলে জীবনঘনিষ্ঠ খেলনা তুলে দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে নাজিয়া বলেন, ইসলামি আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে কেউ তাদের বিভ্রান্ত করতে না পারে। আর এ বিষয়টি তাদের মস্তিষ্কে গেঁথে দিতেই আমি এমন খেলনা তৈরি করেছি।
তবে নাজিয়ার তৈরিকৃত খেলনা নিয়ে অনেকেই সমালোচনাও করছেন। তাদের যুক্তি, ইসলাম প্রতিকৃতি বা এভাবে পুতুল বানানোকে সমর্থন করে না। সুতরাং প্রতিকৃতি বা পুতুল বানিয়ে তাতে হিজাব দেওয়া হলেই সেটা ইসলামি হয় না বা হতে পারে না।
-ইন্ডিপেনডেন্ট অবলম্বনে
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এমএইউ/