বাংলাদেশের টঙ্গিতে অনুষ্ঠিত ইজতেমাকে বিশ্ব ইজতেমা বলা হয়। এটা তাবলিগ জামাতের সাথীদের সবচেয়ে বড় জমায়েত।
রায়বেন্ড পাকিস্তান তাবলিগের কেন্দ্রীয় মারকাজ। সেখানে বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) শুরু হবে তিন দিনব্যাপী পাকিস্তান ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রথম পর্বে অংশ নেবে- করাচি, লাহোর, পেশওয়ার, মুলতান, বেলুচিস্তান ও কোয়েটার মুসল্লিরা।
পাকিস্তান ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ১১ নভেম্বর। এ পর্বে পাঞ্জাব, ফয়সালাবাদ, পশ্চিম করাচি ও ইসমাইল খান প্রদেশের মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
ইজতেমা উপলক্ষে প্রায় ১০০ একর জায়গার ওপর বাঁশের খুঁটি দিয়ে প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। রায়বেন্ড মারকাজের তত্ত্বাবধানে ইজতেমার সার্বিক কাজ ও প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের বরণ করতে প্রস্তুত রায়বেন্ড মাঠ।
এ ইজতেমাকে সফল করতে রায়বেন্ড মারকাজের ৩৫টি বিশেষ জামাত সারাক্ষণ কাজ করে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে ৫০টি জামাত প্রেরণ করা হয়েছে। অংশ নেবেন অন্য দেশের তাবলিগের সাথীরাও।
পাকিস্তান ইজতেমার মাঠ থেকে বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের সাথী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সকাল থেকেই পাকিস্তানের তাবলিগের সাথীরা জামাতবদ্ধ হয়ে মাঠে আসতে শুরু করেছেন। আগত মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগি ও নামাজের পরে বিশেষ বয়ান শুনে সময় কাটাচ্ছেন।
রায়বেন্ড ইজতেমা আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার শুরু হবে। ইজতেমায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মুরুব্বি আম ও খাস বয়ান করবেন। তারাও রায়বেন্ড মারকাজে পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
এমএইউ/
আরও পড়ুন>>
** জেলায় জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমা
**টঙ্গিতে ২ ডিসেম্বর শুরু জোড় ইজতেমা