ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় যেভাবে চলছে মেট্রোরেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
ঢাকায় যেভাবে চলছে মেট্রোরেল

ঢাকা: অনেক স্বপ্ন আর সম্ভবনা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। তবে শুরুর দিনেই মেট্রোতে চড়তে গিয়ে যাত্রীদের অম্ল মধুর দুই ধরনের অভিজ্ঞতাই হয়েছে।

সময় বাঁচাতে মেট্রোতে উঠতে ভিড়ের কারণে উঠতেও পারেননি অনেকে। কেউ কেউ দেড়ঘণ্টার পথ ১০ মিনিটে পাড়ি দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বলছেন, ‘স্বপ্নের মতো’।

রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থা যখন কোনোভাবেই কাজ করছে না তখনই মেট্রো রেলের যুগে প্রবেশ করেছে ঢাকা। বলে রাখা ভালো, উন্নত দেশগুলোতে মেট্রোর ইতিহাস বেশ পুরোনো। কোনো কোনো শহরে মেট্রো চলার ইতিহাস প্রায় শতাব্দীরও বেশি। দেশ হিসেবে পৃথিবীর ১৭৮তম মেট্রো সিস্টেমে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সীমিত পরিসরে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরে দেওয়া হয়েছে মেট্রোরেল। তাই চলাচলের প্রথম দিনই উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আগারগাঁয়ে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ভ্রমণের সুযোগ না পেয়ে কেউ কেউ ফিরে গেছেন।

প্রকল্প কাজ শুরুর সাত বছর পর প্রায় ২২ কিলোমটার মেট্রোর রেলের মধ্যে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর‌্যন্ত মাত্র ১২ কিলোমিটার পথের কাজ সম্পন্ন করেছে মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। প্রাথমিকভাবে উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও রুটেই চলবে মেট্রো। ফলে আপপাত এ দুই স্টেশনের যাত্রীরাই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড জানিয়েছে, যাত্রী পরিবহনে তিনমাস চলবে ট্রায়াল পর্ব। তাই এ সময়ে ছয় বগি বিশিষ্ট ট্রেনগুলো ২০০ জন যাত্রীর বেশি পরিবহন করবে না। আগমী ২৬ মার্চ থেকে পূর্ণ যাত্রী সে সঙ্গে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনেই চলবে ট্রেন।

অপরদিকে, মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে বিআরটিসির শাটল বাস থাকলেও মেট্রো যাত্রীরা সেগুলো খুঁজে পাননি। ফলে তারা বাসগুলোতে চড়তেও পারেননি।

কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানা গেছে। কারণ বাসগুলো যেদিকে ছিল, স্টেশন থেকে সেদিকের ফটক বন্ধ রাখা হয়েছিল।

 সকালে মেট্রোরেলের বেশ কয়েকটি ট্রেন উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ে এসে পৌঁছায়। কিন্তু স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর যাত্রীরা কাঙ্ক্ষিত শাটল বাস সার্ভিস খুঁজে পাননি। অন্যদিকে বাস কাউন্টারে ২০টি বাস অপেক্ষা করলেও সেখানে কোনো মেট্রোরেলযাত্রীর দেখা মেলেনি।

 সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) শাটল বাস সংশ্লিষ্টরা যাত্রীদের অপেক্ষায় ছিলেন। আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনের বি গেটের মুখেই আগারগাঁও-ফার্মগেট-মতিঝিল রুটের শাটল বাস সার্ভিসের কাউন্টার। বাসের সর্বোচ্চ ভাড়া ৩০ টাকা (মতিঝিল) এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। কিন্তু সেখানে কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি।

আগারগাঁও স্টেশন মূলত ৪টি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রয়েছে। এসব পথের মধ্যে এ ও ডি গেট ফার্মগেটমুখী সড়কে এবং বি ও সি গেট মিরপুরমুখী সড়কে নেমেছে। এসবের মধ্যে আগারগাঁও-ফার্মগেট-মতিঝিল রুটের বাসগুলোর জন্য ডি গেটের সামনে কাউন্টার বসিয়েছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।  

কিন্তু এ গেটটিই সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

প্রথম দিনই বিকল মেট্রোরেলের টিকিট মেশিন

২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও চড়তে পারলেন না মেট্রোতে

ছবি: জিএম মুজিবুর

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
এসআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।