ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
সিলেটে এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩৭

সিলেট: সদ্য বিদায়ী বছরে (২০২২ সালে) সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

ফেলে আসা বছরটিতে সিলেট বিভাগে মোট ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৩৭ জন এবং ৪৩৫ জন আহত হয়েছেন।

এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৩৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন নিহত ও ২৪৮ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২২ সালের সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

সেই প্রতিবেদনেই সিলেট বিভাগে গেল বছরের দুর্ঘটনার এসব পরিসংখ্যান উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলছে, সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত ও ৬১ জন আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার জেলায় ৪২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলায় ৮৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৩ জন নিহত ও ৯৬ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মহাসড়কভিত্তিক দুর্ঘটনার তথ্যে, ২০২২ সালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৮৫ টি দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং ১৮৭ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।  

নিসচার প্রতিবেদনে ২০২১ সাল থেকে ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের  সংখ্যা  বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালে ১৮৭ টি  সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট বিভাগে ২৫০ জন নিহত ও ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগীয় কমিটির সদস্য-সচিব জহিরুল ইসলাম মিশু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ১১টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন পত্রিকার তথ্য, অনুমেয় অনুজ্জ বা অপ্রকাশিত ঘটনা ও নিসচার শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে সড়কে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং এর অভাব, টাস্কফোর্স কর্তৃক প্রদত্ত ১১১টি সুপারিশনামা বাস্তবায়ন না হওয়া, চালকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারীদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে ওভারটেকিং করা, বিরতি ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে গাড়ি চালনা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, চালকদের মাদকে আসক্তি, মহাসড়কে নির্মাণ ত্রুটি, শিশুদের উপযোগী আসন না থাকা, সড়ক-মহাসড়কের মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল চালকদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, রাস্তার পাশে হাটবাজার ও দোকানপাট বসানোকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও অশিক্ষিত ও অদক্ষ চালক, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বামÍবায়ন না হওয়া ইত্যাদি মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়।

প্রতিবেদনে জেলা পর্যায়ে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত লোক সংখ্যা, অপর্যাপ্ত রাস্তা, মোটরসাইকেল ও রিকশার আলাদা লেন না থাকা, ব্যাটারিচালিত যান সড়ক-মহাসড়কে উঠে বেপরোয়া গতিতে চলা, পথচারীদের নিয়ম না মানার প্রবণতা, জেব্রাক্রসিং, ওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ব্যবহার না করে  যত্রতত্র পারাপার ও রাস্তা চলাচল ও পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করাকে দায়ী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৩
এনইউ/এসএএইচ

 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।