হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ, নারী, শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
এ সময় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন আবিদ ও মোবাশ্বির। সংঘর্ষে আহতদের আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের আব্দুল হোসেন কটকা ও মজিবুর রহমান রমজান মিয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। রোববার সন্ধ্যায় আব্দুল হোসেনের পক্ষের তোফাচ্ছির ও মজিবুর রহমানের ছেলে তারেকের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন সোমবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ আহত হন।
সংঘর্ষে আহত সাইকুল, মুতাব্বির রাসেল, উজ্জ্বল, আলমগীর, মুরসালিন, রুবেল, নূর জালাল, ইজাজুল, অলাল, আলামিন, নুরুল আমিন, খেলু মিয়া, রেতু মিয়া, সামিম, রুহুল আমিন, রাসেদ, রুহেল, তুহেল, আব্দুর রহমান, সাহেল, জুয়েল, তহের আলী, মনিরা খাতুন হাফিজা খাতুন, সুরমা খাতুন, সাবেক ইউপি সদস্য সাজ্জাদ মিয়াকে আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আহত অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, জলসুখায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ১৩ রাউন্ড টিয়ার শেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় দু’জনকে আটক করা হয়। সংঘর্ষে ইট-পাটকেলের আঘাতে সাত থেকে আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসআই