ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সেপ্টেম্বরে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালন হবে: মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
সেপ্টেম্বরে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালন হবে: মন্ত্রী

ঢাকা: জনসচেতনতা তৈরি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস হিসেবে আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ১৬ জানুয়ারি।

কিন্তু আগামী বছর জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই আমরা একটি দিবস ঘোষণার পর নির্বাচনের কারণে যদি প্রথমবার পালন করতে না পারি, তাহলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যে কারণে দিবসটি সেপ্টেম্বর মাসে নিয়ে আসার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে এটা চূড়ান্ত হবে।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালনে বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার দিবস পালনে কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপনে ২৫ সেপ্টেম্বরের কথা বলা হয়েছে। তবে এদিনটি পরিবর্তন হতে পারে। যে কারণে এখন নিশ্চিত করে বলছি না। এটিকে ‘খ’ শ্রেণির দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এ দিবসে সরকারি ছুটি থাকবে না। ‘ক’ শ্রেণির দিবসগুলোতে সরকারি ছুটি থাকে।  

জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস গুরুত্ব দিয়ে পালন করা হবে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি খসড়া গাইডলাইনও তৈরি করেছি। যেহেতু আমরা দিবসটি পালনে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছি, সেহেতু আমরা গাইডলাইনটি চূড়ান্ত করবো। এরমধ্য দিয়ে আমরা যোগাযোগ ও উন্নয়নে বড় ধরনের রূপান্তর করতে পারবো। ইউনিয়ন পর্যায়ে দিবসটি পালনের নির্দেশনা থাকবে। জনগণকে সম্পৃক্ততা করতে কাউন্সিলরদেরও নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখা এবং জনমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এ দিবসটি পালন করা হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, অধিকতর জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক এবং আর্থিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথ সুগম হবে। দিবস পালন করলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর যেসব অংশীজন বা সুবিধাভোগী রয়েছেন, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সহজতর হবে এবং কার্যক্রমে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে ফলে সেবা সহজীকরণে সহায়ক হবে। সার্বিকভাবে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ পালনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা, কর্মতৎপরতা, গুরুত্ব ও সর্বোপরি সক্ষমতা প্রকাশ পাবে।

মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপ্তি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউ) গন্ডি পেরিয়ে ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার দিবস উদযাপনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের সম্পৃক্তার প্রয়োজন। বর্তমান সরকার সেবা সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর জন্য বদ্ধপরিকর।

এদিকে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রতিবছর ১৬ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারিকৃত এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব করা হয়। মন্ত্রিসভা এতে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে যে, একটি দিবসকে স্থানীয় সরকার দিবস হিসেবে প্রতিপালন করা উচিত। তারিখটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। তারিখটার জন্য বলা হয়েছে যে, স্থানীয় সরকার বিভাগ পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারিখ নির্ধারণ করবে।

কৃষি জমি সংরক্ষণে স্থানীয় সরকার বিভাগ কি করছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তিন ফসলি জমিতে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে। এরইমধ্যে পরিপত্র জারি করে সেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তিন ফসলি জমি আমরা নষ্ট করতে দেব না। তবে গ্রামেও যাতে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শহরে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে সিটি করপোরেশন ও রাজউক থেকে অনুমোদন নিতে হয়। তেমনি পৌরসভা এলাকায় অনুমতির দরকার পড়ে। গ্রামেও তিন ফসলি জমিতে অবকাঠামো নির্মাণে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুমোদন লাগবে।

তিনি বলেন, যদিও সেখানে (ইউনিয়ন পরিষদ) গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়। এছাড়াও যোগ্য প্রকৌশলী নেই। এমন বিভিন্ন অভিযোগ জনগণের আছে, যা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। কাজ করতে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জ আসবেই। সবার সহযোগিতায় তা মোকাবিলা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।