ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কামরাঙ্গীরচরে দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
কামরাঙ্গীরচরে দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এরাকায় পৃথক ঘটনায় দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন দোকান কর্মচারী মিশকাত হাসান তুষার (১৫) এবং মারুফ (২০)।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তুষারকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তার বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায়, বাবার নাম মো. লিটন। পরিবারের সঙ্গে কামরাঙ্গীরচরের মুন্সিহাটি এলাকায় হান্নানের বাড়ির চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতো।

তার বড় ভাই রাইসুল ইসলাম রাব্বি জানান, চকবাজারের ইসলামপুরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতো তুষার। আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) কাজে না যাওয়ায় মা লাইলী বেগম তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান করে ফ্যানের  সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। দেখতে পেয়ে তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই কিশোরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার জানান, মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায দিকে মধ্য মোমিনবাগ গ্যাস ফারুখের গলির আনোয়ার হোসেনের বাড়ির চতুর্থ তলার সিঁড়ি কোঠায় বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মারুফনামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতনদের জন্য বুধবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মারুফ।

মোমিনবাগে বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় জুম্মন চকদারের ওয়ান পিস কারখানায় গত চার মাস যাবত চাকরি করতেন মারুফ। কারখানাটির মালিক জুম্মন চকদার জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাড়াহুড়া করে গ্রামের বাড়িতে যায় মারুফ। ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবার কারখানায় ফিরে আসে। এরপর থেকে তার মন খারাপ ছিল। মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে বারবার কথা বলছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খাবার খাওয়ার কথা বলে সে কারখানা থেকে বের হয়। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় অন্য শ্রমিকরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এক পর্যায়ে চতুর্থ তলার সিঁড়ি কোঠায় বাঁশের আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেয়।

মারুফের বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি হুট করে  বাড়িতে যায় তার একমাত্র সন্তান মারুফ। দুই দিন থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আবার সে ঢাকায় চলে আসে।

মারুফ অবিবাহিত ছিলেন। সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল তার। ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারেননি বাবা গিয়াস উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।