ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হজ্ব যাত্রীদের ভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবি আটাবের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
হজ্ব যাত্রীদের ভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবি আটাবের

ঢাকা: হজ্ব যাত্রীদের নির্ধারিত বিমানভাড়া পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আটাবের সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়৷

চিঠিতে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্টদের একমাত্র সংগঠন।

সারাদেশে আটাবের প্রায় ৩৫০০ সদস্য রয়েছে। দেশের এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সুষ্ঠু উন্নয়নে আটাব বিগত ৪৫ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালে হজ্বের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৭ সালে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মাহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ্বে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ২০২২ সালে হজ্ব প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বিবেচনায় নিলে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজ্বের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। এ বছর সৌদি সরকার হজ্বের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে। গত ২০১৭ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে হজ্ব যাত্রীদের নির্ধারিত বিমান ভাড়া ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে নির্ধারিত বিমান ভাড়া পূর্বের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হজ্ব প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি রিয়ালের মূল্য হিসাব করে সৌদি আরবের খরচ নির্ধারণ করা হলেও হজ্বের সময় রিয়ালের মূল্য টাকার বিনিময় মূল্যের হার বৃদ্ধি পাবে বলে সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সমস্ত বিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে তার প্রভাবে হজ্ব যাত্রীদের আর্থিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে হাজীগণ হজ্ব করতে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবে। বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজ্ব যাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এমতাবস্থায়, ২০২৩ সালের হজ্ব প্যাকেজে উল্লেখিত বিমান ভাড়া হ্রাসসহ প্যাকেজ মূল্য পুনঃবিবেচনা করে হাজীদের অর্থ কষ্ট লাঘব করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এমকে/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।