ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সাউথ সাউথ কো-অপারেশনকে শক্তিশালী করতে নতুন প্রস্তাব

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
সাউথ সাউথ কো-অপারেশনকে শক্তিশালী করতে নতুন প্রস্তাব

ঢাকা: সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার  আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশনকে আরও দৃঢ়তর করার প্রত্যয়ে একটি নতুন মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব’-শীর্ষক  আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন তিনি।

 

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে আর্জেন্টিনা, চীন, কিউবা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালাউই, মরক্কো, নেপাল, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সলোমন দীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এই ফোরাম প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তার প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, এই মুহূর্তে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনে মন্ত্রী পর্যায়ের কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই।  

তাই তিনি ২০১৯ সালের মার্চে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত  বাপা+৪০  সম্মেলনে চেয়েছিলেন গ্লোবাল সাউথের পররাষ্ট্রঅর্থউন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার হোক।  

তিনি বলেন, এ ফোরামের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে গ্লোবাল সাউথের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করার সুযোগ পাবে।  

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং গ্লোবাল সাউথের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর কাছ থেকে এ প্রস্তাবে খুবই আশাব্যঞ্জক সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান মন্ত্রী।  

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি অর্জনে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মত দেন বক্তারা।  

কিউবা, কেনিয়া, মিশর, রুয়ান্ডা এবং মরক্কোর  প্রতিনিধিরা এই ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।  

এছাড়াও এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপালের প্রতিনিধিরা গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা প্রস্তাবটিকে বাণিজ্য, অর্থ, বিনিয়োগ, জ্ঞান ভাগাভাগিসহ সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের অব্যবহৃত সুযোগ কাজে লাগানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করছেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত  মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বৈঠকটি পরিচালনা করেন এবং এতে তিনি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের জাতিসংঘ অফিসের একজন প্রতিনিধিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
টিআর/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।