ঢাকা: বিচারপতি ফরিদ আহমেদ বলেছেন, আদিকালের সেই জামানা এখন আর নেই। আপনি একজনের নিকট যাবেন আমাকে একটি চাকরি দিন, দরখাস্ত করেছি আপনি একটা রিকমান্ড (শুপারিশ) করে দিন; সেদিন চলে গেছে।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী শরফ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসার সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল ও পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
সাহায্য-সহযোগিতার বিষয় তুলে ধরে ফরিদ আহমেদ বলেন, শুধু চিকন্দী নয়, শরীয়তপুরের সন্তান হলেই আমার মধ্যে সহযোগিতা করার ইচ্ছে চলে আসে। তাকে যেভাবেই হোক সহযোগিতা করি।
চিকন্দী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে এই বিচারপতি বলেন, কলেজের প্রিন্সিপাল নেই, ছাত্র নেই, স্কুলের জায়গা দখল করে অন্যান্য মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। স্কুল ও কলেজ কিছুই পাচ্ছে না, কলেজ চালানো যাচ্ছে না, মাদরাসা চলছে না। মাদরাসায় রাজনীতি চলছে। শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম হচ্ছে। আমি সরকারিভাবে প্রতিটি জায়গায় হস্তক্ষেপ করি।
এ সময় চিকন্দী স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মাদরাসার উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
ফরিদ আহমেদ বলেন, চিকন্দীর মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লেখাপড়া করে আমি যদি এই অবস্থানে আসতে পারি, তাহলে আপনারা কেন পারবেন না। যার কাছে মোবাইল আছে, তার হাতে শিক্ষার সবকিছু রয়েছে। এখানে সবকিছু পাওয়া যায়। এখান থেকে আপনাদের আরও অনেক উন্নত হওয়ার কথা- এটা আমরা আশা করি। উন্নত করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করতে হয়। অন্য কেউ আপনাকে উন্নত করে দেবে না। আপনাকে বড় হতে হলে নিজেকে উন্নত করতে হবে। আপনি একা একা কিছুই করতে পারবেন না, সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য সব সময় প্রস্তুত।
এসময় সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক উপ-সচিব মো. হজরত আলী, সাবেক শিক্ষক মো. রমিজ উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল, এডিসি শাহ কামাল, ব্যাংক এশিয়ার ডিএমডি আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম স্বপনসহ প্রায় দুইশ শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
টিএ/এনএস