ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ও অগ্নি নির্বাপণের কাজে দায়িত্বরতদের ইফতার দিয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব বাহিনী ও সংগঠনকে আর্তমানবতার সেবায় ক্ষতিগ্রস্ত ও দায়িত্বরতদের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে দেখা যায়।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ ইফতার বিতরণ করাদের মধ্যে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, হামদর্দ, ছাত্রলীগ, হিউম্যানিটি ফার্স্ট, জুম বাংলাদেশ, মাস্তুল ফাউন্ডেশন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক নাহিদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বঙ্গবাজারে সকাল থেকে আমাদের ৩ প্লাটুন (৯৬ জন সদস্য) কাজ করছে। এছাড়া সাধারণ অঙ্গীভূত ৯৬ জন সদস্যও কাজ করছে। সারাদিন এখানে দায়িত্ব পালন করায় তাদের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৩০০ জন ব্যবসায়ীকেও ইফতার দেওয়া হয়েছে।
হামদর্দের ঢাকা মেট্রো পূর্বের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার মো. মুহিত হাসান বলেন, আমরা দেশের যেকোনো দুর্যোগে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করি। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাকিম মো. ইউসূফ হারুণ ভূইয়ার নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইফতার বিতরণ করেছি।
বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের ইফতার দেওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জুম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শাহিন প্রধানও। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বঙ্গবাজারে ৬০০ জনকে ইফতার দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গবাজার ফুটপাতের ব্যবসায়ী মো. রুহুল মিয়া ও আল মক্কা দোকানের মালিক আবু সাইফ বলেন, আগুনে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা বলে বোঝান যাবে না। আমাদের ইফতার করার মতো অবস্থা নেই। তারপরও বিভিন্ন সংগঠনের এগিয়ে আসায় আমাদের সিয়াম পালন হলো।
মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরও চার মার্কেটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর মধ্যে ছিল গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের দুটি ইউনিট। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি-বিমান-নৌ ও সেনাবাহিনী। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এসসি/এমজে