খুলনা: প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে খুলনার জনজীবনে।
টানা তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সবাই। এই গরমে খুলনার বাজারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র (এসি) এবং এয়ারকুলারের বিক্রি বেড়েছে। পাশাপাশি সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান ও চার্জার ফ্যানেরও বিক্রি বেড়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের এসিতে চলছে আকর্ষণীয় ছাড়।
বিক্রেতারা বলছে, শেষ চৈত্রের প্রচণ্ড তাপদাহের অস্বস্তিকর গরমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর ঠাণ্ডা রাখতে এখন এসি কিনতে আসছে অনেকেই। মধ্যবিত্তরাও এখন কিস্তিতে এসি কিনে নিচ্ছেন। যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই তারা এয়ারকুলার ও ফ্যান কিনে নিচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়ার পর এসির বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ।
খানজাহান আলী রোডের একটি শোরুমে এসি কিনতে আসা ইমন নামের এক ক্রেতা বলেন, বাড়িতে এসি আছে। তবে সব রুমে ছিল না। এবার যে রুমে এসি ছিল, না সে রুমের জন্য এসি কিনতে এসেছি। তীব্র এ গরমে এসি ছাড়া থাকা কষ্টকর।
সিঙ্গার শোরুমের রূপসা শাখার ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড গরম ও রমজানে স্বস্তি পেতে অনেকেই এসির ব্যবস্থা করছেন ঘরে। সামনে ঈদ উপলক্ষে এসির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে চাহিদা বাড়লেও এসির দাম বাড়েনি। বরং বিভিন্ন অফারে বিক্রি হচ্ছে এসি।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, এসির পাশাপাশি এখন ক্রেতারা ফ্যান ও চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চার্জার লাইট ও আইপিএসও কিনছেন।
তবে ফ্যান ও আইপিএসের দাম বাড়ার অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।
ডাকবাংলার সা’দ ইলেকট্রিকের প্রোপ্রাইটর মো. নাজমুল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারে। ফ্যান, চার্জার ফ্যান ইত্যাদির বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে চার্জার ফ্যানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএ