ঢাকা: বাংলা নববর্ষ বরণের ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো হলেও মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা নব্বইয়ের দশকে। অশুভ শক্তির বিনাশ কামনায় শুরু হওয়া এ শোভাযাত্রা এখন পালিত হয় দেশব্যাপী।
সামাজিক হানাহানি ও অস্থিরতাকে উপজীব্য করে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের চরণ ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি’ সবার মাঝে শান্তি ছড়িয়ে পড়ুক- এই প্রত্যাশায় প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হলেও সম্প্রতি চিরকুট পাঠিয়ে এ আয়োজনকে ঘিরে আসে হুমকি। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে নানা বয়সী মানুষ।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৮ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হয় এ বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
আরও অংশ নেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকুসদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামূল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা প্রমুখ।
সকাল ৯টা বাজার আগেই বৈশাখী সাজে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষেরা চারুকলা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। মুখে রংতুলিতে লেখা ‘শুভ নববর্ষ ১৪২৯’, ‘এসো হে বৈশাখ’। পুরুষরা লাল-সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় গামছা, আর লুঙ্গি পরে নিজেকে পুরো বাঙালিয়ানায় ফুটিয়ে তুলেছেন। নারীরা পড়েছেন বৈশাখী শাড়ি। ছোট্ট শিশুরাও অভিভাবকদের সঙ্গে উৎসবে যোগ দেন।
বরাবরের মতো নিরাপত্তা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। র্যালির সম্মুখভাগে সোয়াতের টিম, র্যাব, পুলিশের চৌকস দল অবস্থান নেয়। কারো হাতে জাতীয় পতাকা, কারো হাতে চারুকলার তৈরি মুখোশ। এ ছাড়া র্যালির অগ্রভাবে টেপা পুতুল, ময়ূর, নীল গাই, হাতি, ভেড়ার বাচ্চা ও সর্বশেষ বাঘের প্রতিকৃতি ছিল।
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আসা শোভা রহমান ও আনিসুর রহমান দম্পতি বাংলানিউজকে বলেন, পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। এ দিনের জন্য আমরা অপেক্ষা করি। সবার জীবনে খারাপ দিকগুলো চলে গিয়ে পূর্ণতায় ভরে ওঠুক, এটিই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এসকেবি/আরএইচ