ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনসিডিলসহ আটক তিনজনকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
ফেনসিডিলসহ আটক তিনজনকে ছেড়ে দিলো পুলিশ অভিযুক্ত এএসআই মো. মন্টু আহম্মেদ

গাজীপুর: ফেনসিডিলসহ আটকের পর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মন্টু আহম্মেদের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে উধাও হয়ে গেছে উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিল।

আটক পাঁচজনের মধ্যে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার আজমাতা এলাকার মৃত দিদার আলীর ছেলে আশরাফুল আলম ওরফে আবু হানিফ (৪৫), কুড়িগ্রাম সদর থানার কাচি চর এলাকার মো. মোসলেমের ছেলে আব্দুল হাকিম (২২)। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হলেও আবু হানিফ ও হাকিমের স্ত্রীসহ তিন নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই তিন নারীর নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন নতুন বাজার এলাকায় তারা সিএনজি স্টেশনের সামনে থেকে তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে এএসআই মো. মন্টু আহম্মেদ। এ সময় তার সঙ্গে এএসআই রেজাউল করিমসহ ফোর্স ছিল। পরে আটক আবু হানিফ ও আব্দুল হাকিমের হাতে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে ২০ বোতল করে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুই নারীর পিঠে বাঁধা বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগে থাকা ফেনসিডিল ও এক নারীর পায়ে বিশেষভাবে বাঁধা অবস্থায় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ওই তিন নারীর কাছ থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করার পরেও তাদের ছেড়ে দেয় এএসআই মো. মন্টু আহম্মেদ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ফেনসিডিলগুলো উধাও হয়ে যায়।

এজাহারে এএসআই মন্টু আহম্মেদ লিখেন আবু হানিফ ও আব্দুল হাকিমের হাতে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে ২০ বোতল করে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাহলে প্রশ্ন থাকে ওই তিন নারীর কাছ থেকে উদ্ধার করা ফেনসিডিলগুলো কোথায়? আবু হানিফ ও আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে কোনাবাড়ী থানায় মামলা দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই তিন নারীর কাছে ফেনসিডিল উদ্ধার করার পরেও তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এজাহারে কোনাবাড়ী থানার এএসআই মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও তিনি সেখানে ছিলেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে কোনাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মন্টু আহম্মেদ বলেন, মামলা দিয়ে দুইজনকে আদালতে পাঠিয়েছি। কি করবো অনেকেই অনেক কথাই বলে।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  আশরাফ উদ্দিন বলেন, আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, মাদকসহ আটক করে কাউকে এভাবে ছেড়ে দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯, এপ্রিল ১৬, ২০২৩।  
আরএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।