ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি সাহিত্যিকও ছিলেন। কিন্তু সাহিত্যিক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন অসমাপ্ত রয়ে গেছে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত গ্রন্থ ত্রয়ী (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন) সার্ক সাহিত্য পুরস্কার অর্জন বিষয়ে তথ্য ও মূল্যায়ন উপস্থাপনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ সভার আয়োজন করে ফেডারেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
সম্প্রতি এক সম্মেলনে আত্মস্মৃতিমূলক গ্রন্থ ত্রয়ী (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন) রচনার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশেষ সার্ক সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করে ফাউন্ডেশন অব সার্ক রাইটার্স অ্যান্ড লিটারেচার। গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রথম প্রয়াত কোনো লেখককে এমন পুরস্কারে ভূষিত করলো ফাউন্ডেশনটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার ও সনদ গ্রহণ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও লেখক মফিদুল হক। পরে দেশে ফিরে গত ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন তারা।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি লেখক মফিদুল হক বলেন, রাজনীতিবিদের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সাহিত্যিক ছিলেন। তাকে আমরা নতুন মাত্রায় খুঁজে পাচ্ছি। কিন্তু সাহিত্যিক হিসাবে বঙ্গবন্ধুর মূল্যায়ন এখনও অসমাপ্ত রয়ে গেছে। আমাদের সবার উচিত আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার এই সাহিত্যিক পরিচিতিটা তুলে ধরা।
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রচিত তিনটি বই থেকে সব রাজনীতিবিদের অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের ও তরুণদের বইটি পড়া উচিত।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা সাহিত্যিক হিসেবে ভাবতে পারিনি। কিন্তু অন্যরা ঠিকই ভেবেছে এবং পুরস্কৃত করেছে। এটা আমাদের জন্য সত্যি দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবন্ধুকে এখনও বিভিন্ন দিক থেকে আবিষ্কার করা বাকি রয়ে গেছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক মোহিত কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এসসি/এসআইএ