ফরিদপুর: ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুর অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত তলব করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, দুদকের ঢাকা অফিস থেকে ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক এই মেয়রকে তলব করা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, দুনীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২২ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর ৮ বিধি মতে উপযুক্ত অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার (সাবেক মেয়র মেথুর) বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুদকের সহকারি কমিশনার মাহবুবুল আলমে স্বাক্ষরিত এক চিঠিগতে আরও উল্লেখ করা হয়, আগামী মাসের ৩ মে বেলা ১০টায় পত্র সাক্ষরকারির দপ্তরে হাজির হওয়ার জন্য আপনাকে (মেয়র মেথু) অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময়ে হাজির হতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
দুদকের তলবে প্রসঙ্গে শেখ মাহাতব আলী মেথু বলেন, দুদকের কোনো চিঠিই এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। তবে যে কোনো তথ্য দিতে এবং যে কোনো পরিবেশ মুখোমুখি হতে ইনশাল্লাহ আমি প্রস্তুত আছি।
তবে তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরেই ফরিদপুরের একটি মহল তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। হয়তো তারই অংশ হিসেবে এই চিঠি পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, শেখ মাহাতাব আলী মেথু সর্বপ্রথম ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর ২০০২ সালে কয়েক মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এর দেড় বছর পর আবার মেয়রের চেয়ারে আসীন হন তিনি। সর্বশেষ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ওই চেয়ার থেকে সরে যান (নির্বাচন না করায়)।
ফরিদপুর পৌরসভার ইতিহাসে তিনি দীর্ঘ সময়ের চেয়ারম্যান এবং মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত। ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় তার নাম আলোচনায় আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৩
এফআর