নরসিংদী: রায়পুরায় চরাঞ্চলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে বাধা দেওয়ায় জুলহাস মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার নিলক্ষ্যার ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস এলাকার বাসিন্দা শামসুল মিয়ার ছেলে ও পোল্ট্রি ব্যবসায়ী।
আহতরা হলেন- বীরগাঁও হাজী বাড়ির আলমগীরের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬), বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইয়ামিন (১৫) ও গোপীনাথপুরের কালাগাজীর ছেলে রাইজ উদ্দিন (২৬)। আহত হওয়ার পর তাদের প্রথমে নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন চিকিৎসকরা।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জালাল মিয়া প্রায়ই ককটেল তৈরি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে থাকেন। সম্প্রতি সে তিনি একাধিকবার ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
শনিবার ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে জালালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী জুলহাস মিয়ার খামারের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আনন্দ উৎসব করতে থাকে। এ সময় খামারের মুরগি অসুস্থ হয়ে পড়ছে ও জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে ককটেল বিস্ফোরণে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন জুলহাস। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার সঙ্গে তর্ক শুরু করে। কিছুক্ষণ পর তারা সেখান থেকে চলেও যায়।
সন্ধ্যার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুলহাস মিয়ার বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন জুলহাস,হাবিবুর, ইয়ামিন ও রাইজ। পরে তাদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠান।
রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) গোবিন্দ সরকার জানান, নিলক্ষ্যায় গণ্ডগোলের ঘটনায় একজন নিহতের খবর পেয়েছি। মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। আরও বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এমজে