ঢাকা: বাংলাদেশে ঈদের খুশি উদযাপিত হয় সাধারণত তিন দিন। দিনগুলোয় পরিবারের সবাই প্রায় নিজেদের মতো করে সময় কাটায়।
ঈদুল ফিতরের দিন চিড়িয়াখানায় বেশ ভিড় ছিল। রোববার (২৩ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনও চিড়িয়াখানায় ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের মৌসুমে তাদের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বেশ।
এদিন সকাল থেকে ঢাকার আকাশে রোদ নেই। নির্মল পরিবেশে চিড়িয়াখানা ঘুরে আনন্দ পাচ্ছে শিশু-কিশোররা। জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়। বাঘ, সিংহ, হরিণসহ প্রতিটি প্রাণীর খাঁচার সামনে শিশু থেকে মধ্যবয়সীরা ভিড় করছেন।
প্রথমবার চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীরা জানান, তাদের অনুভূতিটা ভিন্ন। বন্যপ্রাণীকে কাছ থেকে দেখার মধ্যে আলাদা আনন্দ আছে। তারা সেটিই উপভোগ করছেন।
চিড়িয়াখানা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় দিনে লাখো মানুষের আগমন হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। সকাল থেকে পরিস্থিতি বিবেচনা করলে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত দর্শনার্থী সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমরা আগে থেকেই সব ব্যবস্থা রেখেছি। আমাদের লক্ষ্য দর্শনার্থীরা যেন শান্তিতে তাদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
চিড়িয়াখানায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসারের পিসি মো. হারুন অর রশিদ জানান, সকাল থেকে যত মানুষ চিড়িয়াখানায় এসেছে, আগে এত হয়নি। মানুষ বেশি হলেও তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আনসারের ১৬ সদস্য ছাড়াও দায়িত্ব পালন করছে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
জিএমএম/এমজে