ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: কাদের কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা: এ বছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে মানুষের বাড়ি ফেরা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এর চেয়ে ‘হ্যাসেল ফ্রি’ (ঝামেলামুক্ত) যাত্রা গত অনেক বছর ধরে হয়ে ওঠেনি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা একটা ‘হ্যাসেল ফ্রি’ ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। এবার যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এরচেয়ে হ্যাসেল ফ্রি যাত্রা গত অনেক বছর ধরে হয়ে উঠেনি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি। আমাদের সবার সন্দেহ ছিল পদ্মায় মোটরসাইকেল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। বাইকারদের অসন্তোষ ছিল, তারপরও আমরা সার্বিক সংকট হবে বলে বন্ধ রেখেছিলাম কয়েকমাস। চালু করে দেখেছি, আমাদের তরুণরা যে শৃঙ্খলার সাথে চালিয়েছে, তা অনন্য। পদ্মা সেতুতে তারা সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াত করছে।  

তিনি বলেন, গাজীপুর রুটে বিআরটি প্রজেক্ট নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পেরেছে। মানুষের ফিরে আসা শুরু হবে। ঘরমুখো যাত্রা যেমন স্বস্তিদায়ক ছিল, তেমনি ফিরে আসাটাও যেন স্বস্তিদায়ক হয়। ঈদের আগে সড়ক দুর্ঘটনা কম হলেও পরের যাত্রায় দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। এ সময় একটু কঠোরভাবে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে।  

কাদের বলেন, কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা নিরাপদ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন, যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। এবার সবাই ইতিবাচক বলছে, স্বস্তিদায়ক যাত্রা হয়েছে সেটা সবাই বলছেন। যেভাবে এবার আমাদের কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে।   

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব নিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর আমরা সামনে থেকে দেখেছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর নির্বাচনের বছর। অনেকগুলো কাজ আমাদের রয়ে গেছে। এমআরটি লাইন-৬ এ বছর শেষ করার কথা বলেছি, সেভাবেই কাজ এগোচ্ছে।  আমরা একটা প্রকল্পে পিছিয়ে ছিলাম বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, সেটা অনেকটা ইম্প্রুভ করেছে। এবার যানজটের বিড়ম্বনা সেভাবে সইতে হয়নি। কোথাও থেকে তেমন কোনো কমপ্লেইন আসেনি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য আরও কিছু কাজ আছে, সেগুলো শেষ করতে হবে। ঢাকা-সিলেট শুরু হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৬ লেন করতেই হবে। খুলনা-যশোর, নড়াইল থেকে বেনাপোল, ভাঙ্গা-বরিশাল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এগুলো করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।