চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ মাস্টার পাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা গর্ত থেকে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের (১৭) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। পরে পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন তারা।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রোববার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে প্রবাসী আজিজুর রহমানের ভবনের প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম লিফটের গর্তে কাউছারের মরদেহ দেখতে পায়।
প্রহরী ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের মালামাল দেখার জন্য দ্বিতীয় তলায় যান তারা। মালামাল দেখে আসার সময় বিল্ডিংয়ের নিচ তলার লিফটের ফাঁকা গর্তে টর্চ লাইট মারলে মরদেহটি দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের বাবা মোস্তফা কামাল জানান, তার ছেলে কোরআনে হাফেজ। রমজানের মাসে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তারাবি নামাজ পড়ানো শেষে ঈদ করতে বাড়ি ফেরে। চাঁদ রাত অর্থাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে তারা মকিমাবাদ মাস্টার পাড়ায় বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকা।
তবে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের মা পেয়ারা বেগম বলেন, কয়েক মাস আগে তার ছেলে মানিরু একটি মাদরাসার পোস্টার ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক কিশোরের সঙ্গে হট্টগোল হয়। তাকে মারধর করতে বাসায় এসেছিল ওই কিশোররা।
স্থানীয় কাউন্সিলর মো. শাহআলম বলেন, আগে কারো সঙ্গে কোনো হট্টগোলের খবর জানা নেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়ের সৈয়দ।
ওসি বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহের মুখের বাম পাশে ও মাথার বাম পাশে থেতলানো এবং মাথার পিছনের অংশে ফাটা জখম রয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা কিনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
আরএ