ঢাকা, শনিবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত ৩ নদীর মোহনা

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত ৩ নদীর মোহনা

চাঁদপুর: ঈদের ছুটি শেষে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে চলে গেলেও ব্যবসায়ী এবং অন্য পেশার লোকজন এখনও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটে আসছেন চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখন এই স্থানটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত করে রাখছে।  

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিন নদীর মোহনায় গিয়ে দেখা গেছে শত শত দর্শনার্থী। বিভিন্ন যানবাহনে করে আরও দর্শনার্থী আসছেন। এখানকার অস্থায়ী দোকান ও হকারদের ব্যস্ততা বেড়েছে।  

কিছু সময় মোলহেড ঘুরে দেখা গেল, তরুণ বয়সী দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। অভিভাবকের সঙ্গে এসেছে শিশুরা। তাদের সংখ্যাও কম নয়। মোলহেডের গাছের নিচে বসে আছেন অনেকে। কারণ সকাল থেকে সূর্যের তাপ বেড়েছে। মোলহেডের উত্তরে মেঘনা নদীতে এবং দক্ষিণে ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ও স্পিডবোট চালকরা ডাকছেন মেঘনার পশ্চিমে চরে ভ্রমণ করার জন্য।  

মোলহেডের উত্তর পাশ থেকে দর্শনার্থীদের নিয়ে একাধিক ট্রলার ছেড়ে গেলে মেঘনার পশ্চিমপাড়ে মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চরে। সেখানে ট্রলারে আসা যাওয়ার বাড়া জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা।  

রিয়াশা ও সায়মন বসে আছেন গাছের ছায়াতলে তাদের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, আমাদের বাসা শহরেই। বৃষ্টি না হওয়াতে চাঁদপুরে গরম কোনোভাবেই কমছে না। এখানে এলে শীতল বাতাস আর নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। যে কারণে এখানেই চলে আসি।

লক্ষ্মীপুর থেকে বেড়াতে এসেছেন জাবের রহমান ও তার সহপাঠীরা। তারা ঘুরে ঘুরে সেলফি তুলেছেন। কেউ নদীর পাড়ের পাথরে উঠছেন। আবার অনেকেই পাথের সঙ্গে পানিতে নেমেছেন।  

জাবের বলেন, জায়গাটা অনেক সুন্দর। আগে কখনো আসেনি। বন্ধুদের নিয়ে ভাল সময় কেটেছে। তবে এই স্থানটিকে আরও আকর্ষণীয় করা যেতে পারে।  

দর্শনার্থীদের কাছে নিজের ঘরে বানানো কাপ দই বিক্রি করেন জীবন ঘোষ।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় এখানে দর্শনার্থী বাড়ে। যে কারণে দই বিক্রি করতে চলে আসি। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬০-৭০ কাপ দই বিক্রি করি। প্রতি কাপ দইয়ের দাম ৩০ টাকা।  

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে ও পরে আমাদের নিয়মিত টহল দল রয়েছে। চাঁদপুরে যেহেতু ভালো পর্যটন কেন্দ্র নেই। সে কারণে তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মানুষজন চলে আসে। সেখানে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের একটি স্পেশাল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন এবং দু’টি টিম টহলে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।